কণ্ঠ ডেস্ক
অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরীর ‘সাবা’ একের পর এক আন্তর্জাতিক উৎসবে যাচ্ছে। এবার এটি নির্বাচিত হলো সৌদি আরবের রেড সি আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের প্রতিযোগিতা বিভাগে। উৎসবের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে সিনেমাটির পোস্টার শোভা পাচ্ছে। জেদ্দায় আগামী ৫ ডিসেম্বর চতুর্থ রেড সি আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের পর্দা উঠবে। এবারের আসর চলবে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। উৎসবে মেহজাবীন ও ‘সাবা’র পরিচালক মাকসুদ হোসেনের অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। ১১ নভেম্বর খবরটি জানিয়ে সোশ্যাল হ্যান্ডেলে মেহজাবীন লিখেছেন, “দারুণ এক চলচ্চিত্র উৎসবে জায়গা করে নিয়েছে ‘সাবা’। এটি হলো সৌদি আরবের রেড সি ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল! বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ১৫টি সিনেমার পাশাপাশি আমাদের সিনেমা প্রতিযোগিতা বিভাগে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচিত হয়েছে। আমার পুরো টিমকে অভিনন্দন।” সৌদির আগে ইন্দোনেশিয়ার অল্টারনেটিভ ফিল্ম অ্যাওয়ার্ডস অ্যান্ড ফেস্টিভ্যালে দেখানো হবে ‘সাবা’। আগামী ২২ নভেম্বর থেকে ২৮ নভেম্বর ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা শহরে হচ্ছে এই উৎসব।‘সাবা’য় নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন মেহজাবীন। সিনেমাটির সহ-প্রযোজক তিনি। ১ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট দৈর্ঘ্যের গল্পটিতে দেখা যায়, ২৫ বছর বয়সী সাবা ঢাকায় মাকে নিয়ে থাকে। তার মা শিরিন একটি দুর্ঘটনার পর শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন। সংসারের হাল ধরতে চাকরি করে সাবা। এদিকে শিরিন হার্ট অ্যাটাক করলে তার চিকিৎসার ব্যয় মেটানো সাবার জন্য দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে। মায়ের অস্ত্রোপচারের জন্য টাকা কীভাবে জোগাড় করবে সেসব ভেবে দিশেহারা হয়ে যায় সাবা। এরমধ্যে মেয়েটির জীবনে আশার আলো হয়ে আসে অঙ্কুর। ২০২২ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার বুসান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের এশিয়ান প্রজেক্ট মার্কেটে স্থান পায় ‘সাবা’। গত ৪ অক্টোবর ২৯তম বুসান আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ‘অ্যা উইন্ডো অন এশিয়ান সিনেমা’ শাখায় এর এশিয়ান প্রিমিয়ার হয়েছে। এর আগে ৪৯তম টরন্টো আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ডিসকভারি প্রোগ্রামে নির্বাচিত হয় ‘সাবা’। টরন্টোর স্কটিয়াব্যাংকে গত ৭ সেপ্টেম্বর এর ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হয়।