1. jitsolution24@gmail.com : admin :
  2. shantokh@gmail.com : Sharif Azibur Rahman : Sharif Azibur Rahman

ইইউ-বাংলাদেশ অংশীদারত্ব চুক্তি: যেসব বিষয় আসছে আলোচনায়

  • প্রকাশের সময় বুধবার, ৬ নভেম্বর, ২০২৪
  • ২৫ বার সংবাদটি পাঠিত
ইইউ-বাংলাদেশ অংশীদারত্ব চুক্তি: যেসব বিষয় আসছে আলোচনায়

কণ্ঠ ডেস্ক

অন্তর্বর্তীকালিন সরকারের ওপর পূর্ণ আস্থার প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। বাংলাদেশের সঙ্গে রাজনৈতিক আলোচনার অংশ হিসেবে এবং ইউরোপের এই জোটের সঙ্গে অংশীদারত্ব বাড়ানোতে ‘অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতা চুক্তি’ (পিসিএ) নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার শুরু হওয়া দুই দিনব্যাপি উদ্বোধনী আলোচনায় দুই পক্ষ অংশীদারত্বের মাত্রা, ব্যাপ্তি ও রোডম্যাপ নিয়ে কথা বলেছেন।
আলোচনায় বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দিচ্ছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. নজরুল ইসলাম। অন্যদিকে ইইউ এর পক্ষে নেতৃত্ব দিচ্ছেন এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিসের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর পাওলা পামপোলিনি। এ বিষয়ে বুধবার (৬ নভেম্বর) নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্পর্কে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে দুই পক্ষের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও আস্থা। বাংলাদেশ ও ইইউ এর মধ্যে ওই সম্পর্ক বিদ্যমান। বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শান্তি ও নিরাপত্তা, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সহযোগিতাসহ অন্যান্য বিষয়ে কীভাবে দুইপক্ষের অংশীদারত্ব বাড়ানো যায়, আমরা সেব্যাপারে আলোচনা শুরু করেছি।’ গোটা প্রক্রিয়াটি রাজনৈতিক এবং এর একটি রোডম্যাপ আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আশা করছি আগামী দুই বছরের মধ্যে আমরা অংশীদারত্ব ও সহযোগিতা চুক্তির আলোচনা শেষ করতে পারবো।’ তিনি বলেন, ‘অনেক বিষয়ে আমাদের মধ্যে ঐকমত্য আছে। এছাড়া অন্যান্য বিষয়গুলো বাস্তবতার আলোকে জাতীয় স্বার্থ বিবেচনা করে আমরা আমাদের স্বার্থ বজায় রাখবো।’ উল্লেখ্য, ২০০১ সালে বাংলাদেশ ও ইইউ সহযোগিতা চুক্তি করে। এর তিনটি ভিত্তি ছিল। সেগুলো হচ্ছে বাণিজ্য, মানবাধিকার ও উন্নয়ন। বর্তমান অংশীদারিত্ব চুক্তির উপাদানে ওই তিনটি ছাড়াও নিরাপত্তা, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সহযোগিতা, ডিজিটাল সহযোগিতাসহ অন্যান্য বিষয়গুলো রযেছে। উন্নয়নশীল অনেকগুলো দেশের সঙ্গে পিসিএ রয়েছে ইইউ-এর। স্বল্পোন্নত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের সঙ্গে প্রথম পিসিএ নিয়ে আলোচনা করছে ইইউ। ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রফতানি বাজার। গত বছর বাংলাদেশ ২৫০০ কোটি ডলারের পণ্য রফতানি করেছে সেখানে। অন্যদিকে ইউরোপিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক থেকে প্রকল্প সহায়তার জন্য প্রায় ১০০ কোটি ইউরো ঋণ নিয়েছে বাংলাদেশ। দুই পক্ষের মধ্যে রাজনৈতিক যোগাযোগ অত্যন্ত নিবিঢ়। ইইউভুক্ত প্রায় ১০টি দেশের দূতাবাস বাংলাদেশে আছে। অন্যদিকে বাংলাদেশের প্রায় ইইউভুক্ত ১০টি দেশে দূতাবাস আছে। অংশীদারত্ব চুক্তির উপাদান ২০০১ সালে সহযোগিতা চুক্তিতে অনুচ্ছেদ ছিল ২১। অন্যদিকে খসড়া অংশীদারত্ব চুক্তিতে অনুচ্ছেদ আছে ৮৩টি। আকারে এবং বিষয়বস্তুতে এটি অনেক বড় এবং প্রচুর উপাদান এখানে সংযুক্ত করা হয়েছে। মোটা দাগে যে উপাদানগুলো রয়েছে সেগুলো হচ্ছে–– শান্তি ও নিরাপত্তা; আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোতে সহযোগিতা; বাণিজ্য ও বিনিয়োগ; স্বাধীনতা, নিরাপত্তা ও সুবিচার; এবং অন্যান্য খাতে সহযোগিতা। শান্তি ও নিরাপত্তা উপাদানের মধ্যে যে বিষয়গুলো রয়েছে সেগুলো হচ্ছে ডিসআর্মামেন্ট, ছোট অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ, সন্ত্রাসবাদ দমনসহ অন্যান্য বিষয়। আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোতে সহযোগিতায় জাতিসংঘ, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা, আসিয়ানসহ অন্যঅন্য ফোরামে দুইপক্ষের অবস্থান ও স্বার্থ নিয়ে আলোচনা। বাণিজ্য ও বিনিয়োগ উপাদানে স্যানেটারি ও ফাইটোস্যানেটারি, টেকসই খাদ্য নিরাপত্তা,বাণিজ্যে প্রতিবন্ধকতা, কাস্টমস সহযোগিতা, এন্টি-ডাম্পিং শুল্ক, বিনিয়োগ, মেধাস্বত্ত, সেবা ও ডিজিটাল ট্রেডসহ অন্যান্য বিষয়। স্বাধীনতা, নিরাপত্তা ও সুবিচার উপাদানের বিষয়বস্ত অনেক বড় এবং অনেকগুলো ছোট ছোট উপাদান এখানে সংযুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে লিক্ষ সমতা, নারী ক্ষমতায়ন, পারসোনাল ডাটার সুরক্ষা, বিচারবিভাগ ও আইনি সহযোগিতা, কনস্যুলার সুরক্ষা, অভিবাসন, মানবিক সহযোগিতা, সংঘবদ্ধ অপরাধ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ, অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসবাদ অর্থায়ন প্রতিরোধ, ওষুধ নীতি সহযোগিতাসহ অন্যান্য উপাদান। অন্যান্য খাতে সহযোগিতার মধ্যে রয়েছে আর্থিক খাতে সহযোগিতা, কর বিভাগে সুশাসন, ক্ষদ্র ও মাঝারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সহযোগিতা, আইসিটি, জ্বালানি, জলবায়ু পরিবর্তন, লজিস্টিক, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য, কৃষি সহযোগিতাসহ অন্যান্য বিষয়।

সংবাদটি সেয়ার করে পাশে থাকুন

একই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved  2024
Design by JIT SOLUTION