দেলোয়ার হোসেন(কলারোয়া)সাতক্ষীরা
সাতক্ষীরা কলারোয়ায় চন্দনপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আনসার আলী লাঞ্ছনার শিকার,ওই স্কুলের শিক্ষার্থীদের কাছে।ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগ-চরম দুর্নীতি,অনিয়ম,স্বেচ্ছাচারিতায় স্কুলকে পরিণত করেন প্রধান শিক্ষক।এমনকি তার অনৈতিক চারিত্রিক সমস্যা রয়েছে।প্রলোভন দেখিয়ে ছাত্রীকেও বিয়ে করেছেন।উক্ত ঘটনায় ছাত্রছাত্রীরা স্কুল পার্শ্ববর্তী গয়ড়া বাজারে মিছিল ও স্কুল চত্বরে বিক্ষোভ করে।এ সময় স্কুলে প্রধান শিক্ষকের রুমে আটকা পড়েন প্রধান শিক্ষক আনসার আলী।অপ্রীতিকর ওই ঘটনায় প্রধান শিক্ষক ও কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন।মঙ্গলবার(২৯ অক্টোবর)দুপুরে চন্দনপুর হাইস্কুল চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে,দীর্ঘদিন পর মঙ্গলবার স্কুলে আসেন প্রধান শিক্ষক আনসার আলী।এতে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা।প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম,দুর্নীতি ও অনৈতিকতার প্রতিবাদে বেলা ১১টার দিকে ছাত্রছাত্রীরা স্কুলের পার্শ্ববর্তী গয়ড়া বাজারে বিক্ষোভ মিছিল করে।এ সময় তারা প্রধান শিক্ষকের অপসারণসহ বিচারের দাবি করে স্লোগান দেন।পরে স্কুল চত্বরে শতশত ছাত্র-ছাত্রী বিক্ষোভ করে প্রধান শিক্ষককে তার রুমে ঘেরাও করে রাখে।এ সময় পরিবেশ ঘোলাটে হয়ে যায়।কয়েকজন শিক্ষার্থী ও প্রধান শিক্ষকের মধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনায় প্রধান শিক্ষক আনসার আলীসহ কয়েকজন ছাত্র আহত হন।খবর পেয়ে থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এস.আই) আব্দুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিবেশ শান্ত করেন।তারা শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলেন। শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে তাৎক্ষনিক মোবাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা।কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা শান্ত হলে পুলিশ বেলা ২টার দিকে প্রধান শিক্ষক আনসার আলীকে সাথে নিয়ে কলারোয়ায় ইউএনও’র কাছে নিয়ে যান।পরে তাকে স্বজনদের মাধ্যমে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কলারোয়া থানার এসআই আব্দুর রহমান।মোবাইলে কলারোয়া থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সামসুল আরেফিন জানান,তিনি সাতক্ষীরায় আছেন,তবে এখন পর্যন্ত ওই ঘটনায় থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি।আহত শিক্ষার্থীরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা গেছে।উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জহুরুল ইসলাম জানান,‘ঘটনাটি অনাকাঙ্খিত, এমনটা আশা করিনি।তদন্ত-পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’