কণ্ঠ ডেস্ক
রাজনৈতিক অস্থিরতা, বন্যা ও ঝড়ে দেশ যেন ডুবে আছে লম্বা সময় ধরে। সর্বশেষ হানা দিয়েছে ঘূর্ণিঝড় দানা। এমনই সময়ে খবর এলো, মুক্তির অনুমতি পেলো, বানভাসি মানুষের গল্পে সাজানো, মৌসুমী হামিদ অভিনীত, সিত্রাং সাইক্লোনে চিত্রায়িত, সোহেল রানা বয়াতির প্রথম সিনেমা ‘নয়া মানুষ’। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড থেকে ২৪ অক্টোবর ছাড়পত্রটি হাতে পান নির্মাতা বয়াতি। এটি তার প্রথম সিনেমা।চরের মেহনতি মানুষের জীবন ও প্রকৃতির খেয়ালিপনার বিভিন্ন দিক নিয়ে আ. মা. ম. হাসানুজ্জামানের ‘বেদনার বালু চরে’ গল্প অবলম্বনে মাসুম রেজার চিত্রনাট্যে এটি নির্মিত হয়েছে। এতে মৌসুমীর সঙ্গে পর্দায় থাকছেন রওনক হাসান এবং শিশুশিল্পী ঊষশী। ২০২২ সালের অক্টোবরে চলচ্চিত্রটির চিত্রধারণ শুরু হয়। কিন্তু সুপার সাইক্লোন সিত্রাংয়ের তাণ্ডবে শুটিং সেট চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং কাজ বন্ধ হয়ে যায়। ২০২৩ সালের ৬ এপ্রিল থেকে আবার নতুন করে শুরু হয় চলচ্চিত্রটির কাজ, শেষ হয় ১২ এপ্রিল। দেশের অন্যতম শীর্ষ অডিও-ভিডিও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জি-সিরিজ’র ব্যানারে নান্দনিক ফিল্মস-এর প্রযোজনায় চলচ্চিত্রটি চলতি বছরেই মুক্তি দেয়ার পরিকল্পনা আছে বলে জানান এর প্রযোজক নাজমুল হক ভূঁইয়া। নির্মাতা সোহেল রানা বয়াতি বলেন, ‘‘বানভাসি মানুষের গল্প ‘নয়া মানুষ’ গল্পের মতোই নানা দুর্যোগ মোকাবেলা করে চলচ্চিত্রটি আনকাট মুক্তির অনুমতি পেয়েছে। নির্মাণের বিভিন্ন পর্যায়ে যারা পাশে ছিলেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। দ্রুততম সময়ে চলচ্চিত্রটি দর্শকদের কাছে পৌঁছে দিতে চাই।’’ ‘নয়া মানুষ’ সিনেমায় সুজলা চরিত্রে দেখা যাবে মৌসুমী হামিদকে। সিনেমাটি নিয়ে তিনি বলেন, ‘চরের মানুষের জীবনের গল্প নিয়ে এই সিনেমা। বিশেষ করে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কাহিনি। আমিও তাদেরই একজন। চরের মধ্যে অনেক কষ্ট করে শুটিং করেছি। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে শুটিং করতে হয়েছে। চরের মধ্যেই থেকেছি। তবে একজন অভিনেত্রী হিসেবে কষ্টটা উপভোগ করেছি। আশা করছি, সিনেমাটি মুক্তি পেলে সব শ্রেণির দর্শকদের ভালো লাগবে।’ কমল চন্দ্র দাসের চিত্রগ্রহণে চলচ্চিত্রটিতে আরও অভিনয় করছেন আশীষ খন্দকার, ঝুনা চোধুরী, নিলুফার ওয়াহিদ, বদরুদ্দোজা, স্মরণ সাহা, শিখা কর্মকার, মাহিন রহমান, মেহারান সানজানা, পারভীন পারু, মেরি প্রমুখ।