কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি
কেশবপুরে এক সরকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শিক্ষক নিয়োগের প্রলোভন দেখিয়ে ৪ ব্যক্তির নিকট থেকে ১০ লক্ষ টাকা আতœসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ঐ সরকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ হয়েছে। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত সার্কুলারের সহকারী শিক্ষক পদে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চাকুরী প্রদানের প্রলোভন দেখিয়ে কেশবপুর উপজেলার বরনডালী গ্রামের ইমান আলী সানার ছেলে নজরূলের নিকট থেকে ৩ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা, একই গ্রামের মৃত আলী হোসেন মোল্যার ছেলে আব্দুস সামাদ মোল্যার নিকট থেকে ২ লক্ষ ৫ হাজার টাকা,সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার বাঁটরা গ্রামের মুনছুর আলী সরদারের ছেলে আজমল হোসেনের নিকট থেকে ২ লক্ষ টাকা ও একই উপজেলার জয়নগর গ্রামের রনজিৎ কুমার দাশের ছেলে প্রদীপ কুমার দাশের নিকট থেকে ২ লক্ষ ৫০ হাজারসহ সর্বমোট ১০ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা খুলনা জেলার কয়রা উপজেলা উচ্ছমান সহকারী কাম-হিসাব রক্ষক প্রদীপ কুমার মন্ডল নগদে গ্রহন করে। নির্ধরিত সময়ের মধ্যে ঐ দূর্ণীতিবাজ কর্মকর্তা প্রদীপ মন্ডল কাউকে কোন চাকুরী না দেওয়াতে ভুক্তভোগীরা তার কাছে তাদের প্রদানকৃত টাকা ফেরৎ চাইলে সে টাকা ফেরৎ না দিয়ে উল্টো বিভিন্ন তাল-বাহানা ও নানা প্রকার ভয়ভীতি প্রদর্শন করে।বাদী তার অভিযোগে আরো উল্লেখ করেন, চাকুরীর জন্য ঐ দূর্ণীতিবাজ কর্মকর্তার নিকট টাকা প্রদানের ভিডিও ফুটেজ,কল রেকর্ড ও ৩শ টাকার স্ট্যাম্পে চুক্তিনামা পত্র এবং এন,আর,বি,সি বাংকের চেকসহ সকল প্রমান রয়েছে।যা অভিযোগ সাথে সংযুক্তি করা হয়েছে। এঘটনায় কেশবপুর উপজেলার মৃত আলী হোসেন মোল্যার ছেলে আব্দুস সামাদ মোল্যা বাদী হয়ে অন্যান্য ভুক্তভোগীদের পক্ষে গত ২২ অক্টোবর-২৪ দূর্ণীতিবাজ সরকারী কর্মকর্তা প্রদীপ মন্ডলের বিরুদ্ধে দূর্ণীতি দমন কমিশন(দুদক) খুলনা অঞ্চল,খুলনা, খুলনা বিভাগীয় প্রথমিক শিক্ষা অফিস ও সাতক্ষীরা জেলা সদর সেনা ক্যাম্প বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছে। নির্ভরশীল একটি সুত্রে জানা গেছে,দূর্ণীতিবাজ ঐ কর্মকর্তা প্রদীপ মন্ডল শুধু যশোর-সাতক্ষীরা নয়,দেশের বিভিন্ন জেলা,উপজেলা থেকে চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে বেকার যুবদের নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে সে অবৈধ সম্পদের পাহাড় ও অঢেল টাকার মালিক বনে গেছে। বর্তমানে সে সাতক্ষীরা রাজ্জাক পার্কের পার্শ্বে রৎখোলা পূজামন্ডপ সংলগ্ন তার ৬ তলা বিশিষ্ট বিলাস বহুল বাড়ীতে বসবাস করছে। এবিষয় কয়রা উপজেলা উচ্ছমান সহকারী কাম-হিসাব রক্ষক প্রদীপ কুমার মন্ডলের মুঠোফোন-০১৭৩৬-৫০০৫৬৪ নাম্বারে বারবার যোগাযোগ করেও তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।