নিজস্ব প্রতিবেদক
জরায়ুমুখ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে দেশে প্রতিবছর ৪ হাজার ৭১ জন নারী মৃত্যুবরণ করেন এবং প্রতি লাখে ১১ জন নারী জরায়ুমুখের ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। জরায়ুমুখ ক্যান্সারের এ ভয়াবহ বাস্তবতায় যশোরে ১ লাখ ৩০ হাজার ৪৫৪ জন স্কুলছাত্রীকে এইচপিভি টিকা (ভ্যাকসিন) দেয়া পরিকল্পনা করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। আগামী ২৪ অক্টোবর হতে যশোর জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী ছাত্রীরা এ টিকা পাবে । ১ মাসে ১৮ দিন এ কর্মসূচি চলমান থাকবে। গত মঙ্গলবার সকালে যশোর সিভিল সার্জন অফিসের হলরুমে অনুষ্ঠিত এইচপিভি- জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে টিকাদান ক্যাম্পেইন অ্যাডভোকেসি ওয়ার্কশপে এ তথ্য জানোনা হয়।ওয়ার্কশপে আরো জানানো হয়, অনিরাপদ যৌন মিলনের মাধ্যমে এ ভাইরাস ছড়াই। এ পর্যন্ত শতাধিক ধরনের এইচপিভি ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এর ভেতর ১৩টি সেরোটাইপ ক্যান্সার সৃষ্টি করে থাকে। ১৬ এবং ১৮ সেরোটাইপ খুব মারাত্মক। যা শতকরা ৭০ ভাগ জরায়ুমুখে ক্যান্সার সৃষ্টি করে। এ ভাইরাস সংক্রমিত হওয়ার পর ১৫ থেকে ২০ বছর সময় লাগে ক্যান্সারে রূপ নিতে। এক্ষেত্রে ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী ৫ম ও ৯ম শ্রেণি সমমানের শ্রেণিতে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের আক্রান্তের ঝুঁকি বেশি থাকে। জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে টিকাদান ক্যাম্পেইন বিষয়ক অ্যাডভোকেসি ওয়ার্কশপে যশোরের জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি দেশ ও জাতি কল্যাণে এ ক্যাম্পেইন সফল করার জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ জানান। যশোরের সিভিল সার্জন ডা. মো. মাহমুদুল হাসান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূর ই আলম, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মো. নাজমুস সাদিক। এমওসিএস ডা. রেহেনেওয়াজ ওয়ার্কশপে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। যশোরের বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এতে অংশগ্রহণ করেন।