শাক দিয়ে মাছ ঢাকলেন মনিরামপুর পৌরসভার সচিব কামাল
এস এম তাজাম্মুল,মনিরামপুর(পৌর)
নিজের দায়িত্বে অবহেলা ও মনিরামপুর পৌরসভার নতুন কবরস্থানে বৃক্ষরোপণের আনুষ্ঠানিকতায় পৌরচত্বরে কবরস্থানের ব্যানার লাগিয়ে ফটোসুটের মত হাস্যকর পরিবেশ তৈরি করে এবং ডিসি আগমনের বেপারে কোন গনমাধ্যমকর্মীকে না জানিয়ে সেই দোষ ও তার দায়ভার যশোর জেলা প্রশাসক মোঃ আজহারুল ইসলামকে দিয়ে বসলনে মনিরামপুর পৌরসভার সচিব মোঃ কামাল হোসেন।পৌরসভার সচিবের রুমে গোপন ক্যামেরাই ধারনকৃত এক ভিডিওতে তার এই কথাবার্তা ধরা পড়ে।এদিকে মনিরামপুর পৌরসভার বাজারসহ প্রতিটি ওয়ার্ডের যত্রতত্র ও অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যাবস্থার কারনে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা থেকে কিভাবে বা কবে নাগাত পৌরবাসী মুক্তি পাবে জানতে চাইলে এটা প্রকৌশল বিভাগের কাজ বলে সচিব কামাল হোসেন কোন ধরনের কথা বলতে রাজি হয়নি।তিনি জনপ্রশাসন বিভাগের কর্মকর্তা বলে এড়িয়ে যান।জলাবদ্ধতার ব্যাপারে পৌরসভা প্রকৌশলীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি অসুস্থ্য ও ছুটিতে আছেন বলে জানান।জনপ্রশাসন বিভাগে গত ৫ই আগস্টের পর এ পর্যন্ত কতজন কর্মী ও কর্মকর্তা এবং কে কে পৌরসভা কার্যালয়ে আসেননি জানতে চাইলে সাবেক মেয়রকে দোষারোপ করে বলেন-অলিয়ার রহমান,জসিমউদ্দীন,ড্রাইভার কুদ্দুস, মোস্তাক হোসেন,শান্ত,টুটুল,কৃষ্ণ,গৌতম এরা কেউ অফিসে আসেননি।এরা পৌরসভার কোন নিয়োগে চাকুরী করতে না। এরা সাবেক মেয়রের অনুসারী হিসাবে কাজ করতো।তবে তথ্য আছে,সচিব কামাল হোসেন সাবেক মেয়র কাজী মাহমুদুল হাসানের সাথে মিশে পৌরসভার বাজার সেবক শ্রেনীর কর্মী থেকে বিভিন্ন পদে একাধিক দলীয় কোটা ও বড় বড় অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ দিয়েছেন।মনিরূমপুর পৌরসভার সচিব কামাল হোসেনের কাজ ও কথা শাক দিয়ে মাছ ঢাকার মতই প্রতীয়মান। তথ্যসংগ্রহে জানা যায়,চলতি মাসের ৩ (বৃহঃবার)তারিখে মনিরামপুর মোহনপুরে ৫৫শতক জমিতে পৌরসভা কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত নতুন কবরস্থানে বৃক্ষরোপনের এক আনুষ্ঠানিক আয়োজন করেন মনিরামপুর পৌরসভা কর্তৃপক্ষ।একই দিনে পৌরসভার ভিতরে ডাস্টবিন বিতরনের আয়োজনও করে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ।পৌরবাসীর মানউন্নয়নের জন্য ও যশোর জেলা প্রশাসকের মতো উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা মনিরামপুরে আসছেন এমন বড় দুইটি আয়োজনে কোন গনমাধ্যম কর্মীকে অবহিত বা আয়োজনকে সকলের কাছে তুলে ধরতে কোন সাংবাদিকে আসতেও বলেননি মনিরামপুর পৌরসভার দায়িত্বে থাকা সচিব মোঃ কামাল হোসেন।যেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যশোর জেলা প্রশাসক মোঃ আজরুল ইসলাম ও সভাপতিত্ব করেন যশোর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোছাঃ খালেদা খাতুন রেখা।ধারনকৃত ছবির তথ্য মোতাবেক,মনিরামপুর পৌরসভার স্টাফ কোয়ার্টারের পাশে একটি দেয়ালে পোস্টার টানিয়ে ও তার সামনে একটি গাছ রোপনের সময়ে ফটোসেশানের কয়েকটি ছবি গণমাধ্যম কর্মীদের হাতে আসে।বিষয়টি সচিব কামাল হোসেনকে জানালে পৌরসভার সন্মান রক্ষার্থে প্রচার বন্ধের অনুরোধ করেন।কিন্তু গত রবিবার ৬অক্টবর মনিরামপুর পৌরসভার সদ্য দায়িত্ব পাওয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিশাত তামান্নার সাথে পৌরসভার ভিতরে সচিব কামাল হোসেন দীর্ঘক্ষন রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে তিনি এই বিষয়টা স্বাভাবিক বলে উড়িয়ে দেন। গেলো ৫ই আগস্ট হাসিনা সহ জবরদখলকারী সরকারের পতনের পর থেকে এ পর্যন্ত বিভিন্ন প্রগ্রামসহ এ ২টি আয়োজনে কেনো গনমাধ্যম কর্মীদের অবগত করা হলোনা জানতে চাইলে পৌরসভার সচিব সরাসরি যশোর জেলা প্রশাসক মোঃ আজহারুল ইসলামেকে দোষারোপ করেন। তিনি বলেন জেলা প্রশাসকের অনুমতি ছিলোনা তাই জানানো হয়নি। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত যশোর জেলা প্রশাসক মোঃ আজহারুল ইসলামকে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা কল হলেও মোবাইলে কোন উত্তর পাওয়া যায়নি।