মনিরুজ্জমান মনির,মনিরামপুর
মণিরামপুর উপজেলার খাটুরা বাওড় লীজ গ্রহিতাকে হটিয়ে দখল নেয়ার চেষ্টা করায় দু’গ্রæপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। খাটুরা বাওড়টি বর্তমানে হাইকোর্টের নির্দেশনা মোতাবেক রিপন ধর এর দখালে আছে। এ নিয়ে রবিবার বিকেলে মণিরামপুর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে খাটুরা বাওড় সমবায় সমিতির সদস্যদের পক্ষে সমিতির সাধারন সম্পাদক মকবুল হোসেন এসব অভিযোগ করেন। এ সময় তার পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রিয়াজুল ইসলাম নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি। লিখিত বক্তব্যে দাবী করা হয়, ৯০’র দশকের আগে ইফাদ নামের একটি কোম্পানি সরকারের নিকট থেক ৫০ বছরের জন্য লীজ নেয়। এরপর ওই কোম্পানি ব্র্যাকের সহযোগিতায় খাটুরা বাওড় মৎস্যজীবি সমিতিকে দায়িত্ব দেয় এবং এক পর্যায় ইফাদ কোম্পানি সমিতির নামে বাওড় লিখে দেয়। সে অবধি খাটুরা মৎস্যজীবিরা রিপন ধর এর মাধ্যমে বাওড়ে মাছ চাষাবাদ করে আসছে। জানাযায়, ২০২১ সালে সরকার বাওড়টি ইজারার জন্য বিজ্ঞপ্তি দিলে ২০২২ সালের ৯ জুন মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি হাইকোর্টে রীট করে। রীটে সরকাপর পক্ষ হেরে গেলে ইজারার বিজ্ঞপ্তি বাতিল হয়। এবং বাওড়ের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য দায়িত্ব পায় খাটুরা মৎস্যজীবি সমিতি। সমিতির পক্ষ থেকে বাওড়টি ২০২২ সালের ৩০ জুন হতে পরবর্তি ৫ বছর তথা ২০২৭ সাল পর্যন্ত রিপন ধর নামের এক ব্যক্তির কাছে লীজ প্রদান করে। এরমধ্যে মহামান্য হাইকোর্ট ২০২৩ সালের ১৩ নভেম্বর সরকারের ইজারাদানের নোটিশের বিপক্ষে স্থগিতাদেশ প্রদান করে। সেই অবধি চুক্তিমোতাবেক বাওড়ে মাছ চাষ করে আসছিলেন রিপন ধর। গত ৫ আগস্ট দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর বাওড় দখলে নিতে মরিয়া উঠেন নজরুল ইসলাম গং। এমনকি আলতাফ হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে দিয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তির নামে জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে ভূয়া অভিযোগ করা হয়। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবী করা হয়। এসময় সত্যতা যাচাই পূর্বক সত্য উদঘাটন করে ভূয়া অভিযোগকারি ও এলাকায় উত্তেজনা পরিস্থিতি সৃষ্টিকারিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়। সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক বিশ্বাস, রিপন কুমার ধর, মকবুল হোসেন, সিরাজুল ইসলাম, রেজাউল ইসলামসহ মৎস্যজীবি সমিতির প্রায় অর্ধশতাধিক সদস্য।