নিজেস্ব প্রতিবেদক
যশারের মনিরামপুর উপজেলার ঢাকুরিয়া ইউনিয়নের সুবলকাটি গ্রামে বসবাসরত মৃত রফিকুল ইসলাম ফারাজীর ছেলে শাহজাহান আলী নামে এক ভুক্তভাগী পরিবারের বাড়ি দখলের চেষ্টা ও মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে ও দুস্কৃতিকারীদের আটক করে তাদের শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।গতকাল ২৫ শে সেপ্টেম্বর বুধবার দুপুর ১২ টার সময় যশোর প্রেসক্লাবের হলরুমে শাহজাহান আলী লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।তিনি বলেন আমি ১২২ নং মৌজা সুবলকাটি গ্রামের নিজ জমির উপর বসত বাড়ীতে তিন যুগেরও বেশি সময় ধরে বসবাস করে আসছি।কিন্তু গত দুই বছর আগে জানতে পারলাম ২৫ শতক জমির এস.এ রেকর্ডিও মালিক কালু গাজী ও জেলেখা বিবি।রেকর্ডিও মালিক কালু গাজী ও জেলেখা বিবির কাজ থেকে আমার আপন বড় মামা আব্দুস সাত্তার সরদার উক্ত জমি ক্রয় করেন।যার দলিল নং৫৭২০ উক্ত জমির আর এস রেকর্ড ভুল হওয়ার কারণে আমি দেওয়ানি মামলা করি।যার মামলা নং ২৭৫/২৩. এস এ রেকর্ডিও কালুগাজী ও জেলেখা বিবি ঐ জমি বিক্রয় করা সত্ত্বেও ওয়ারেশ সুত্রে পুনরায় তার ছেলে সালাম গাজী ও কালাম গাজী উক্ত জমি দাবী করেন।রেকর্ড বুনিয়াদের কথা শুনে কিছু কুচক্র মহলের পরামর্শে ক্রমে সালাম গাজী ও কালাম গাজি এ মামলা শেষ না হলেও তাঁরা ভাড়াটিয়া লোকজন,মাস্তান নিয়ে জমি দখল দেওয়ার অপচেষ্টা চালায়।এমনকি গত ৩১/০৮/২৪ইং তারিখে ১টি মাইক্রো,নসিমন ও ভ্যান যোগে ৩০ থেকে ৪০ জন পুরুষ ও মহিলা অতর্কিতভাবে আমাদের বাড়িতে ঢুকে পড়েন এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে।এমন সময়ে তাদের কাছে থাকা গাছীদা,চাইনিজ কুড়াল,রামদা,লোহার রড ও লাঠিসুটা ছিল এবং তারা আমার স্ত্রী ও মেয়েদের উপর হামলা চালায় ও অতর্কিত ভাবে মারপিট করতে থাকে। ঘর বাড়ী ভাংচুর করে।বসতভিটার সামনে ফলজ ও বনজ গাছ কর্তন করে লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন করে।তাদের নারকীয় তান্ডব চালালে পরিবারের লোকজন ভয়ে চিৎকার করতে থাকে তখন আমি বাড়ির পাশের দোকানে ছিলাম তৎক্ষানিক আমি ছুটে আসি বাড়ির দিকে তখন তারা আমার দিকে অতর্কিত হামলা চালায় ও আমাকে মারধর করে।বাড়ির লোকজনের চিৎকার শুনে আমাদেরকে বাঁচানোর জন্য প্রতিবেশীরা ঘটনা স্তলে আসলে তাদেরকেও মারধর করে এবং হাতে থাকা বিভিন্ন অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ী আঘাত করতে থাকে।এতে আমার প্রতিবেশী সাগর,জনি, মারুফসহ ৪/৫ জন গুরুতর আহত হয়। আমার প্রতিবেশী সাগরের মাথায় মারাত্মক আঘাত লেগে অজ্ঞান হয়ে পড়ে।এ সময় স্হানীয় লোকজন ঘটনা স্হান থেকে আমাদেরকে দ্রুত উদ্ধার করে মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।এমন ঘটনার জন্য আমরা প্রতিপক্ষদের আসামী করে আজিত পিং হযরত আলী ,হামিদুর রহমান পিং যুবান গাজী,আমিনুর রহমান পিং ইজহার আলী মোল্লা,আনোয়ার হোসেন পিং আব্দুস সাত্তার ,রুম্মান হোসেন পিং কেনু গাজী উভয় সাং সুবলকাটি এবং কালাম গাজী,সালাম গাজী উভয় পিং মৃত কালু গাজী, মজিবুর রহমান পিং হাসেম আলীসহ আরোও অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জন উভয়ের সাং কাটাখালী এদের সকলে মামলা করা হয়।প্রতিপক্ষের একজন ঘটনার ১২ থেকে ১৫ দিন পর স্ট্রোকজনিত কারণে মারা যায়। তাই তারা আমাদেরকে মিথ্যা ভাবে দায়ী করার জন্য হত্যা মামলা দেওয়ার পায়তারা চালাচ্ছে।এমন ধরনের মিথ্যা মামলার জন্য আমরা তাদের এমন ঘৃনত কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে আমরা তীব্র নিন্দা জানাই।এমন ঘটনাটি সঠিক তদন্তের
করার মাধ্যমে জড়িত সকল আসামিদের ধরে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নিকট অনুরোধ করা হল।এবং তাদেরকে সঠিক বিচারের আওতায় আনার জন্য বিশেষ ভাবে অনুরোধ করা গেল।