জহুরুল ইসলাম
যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগ থেকে প্রায় ১ লাখ টাকা মূল্যের চিকিৎসা সরঞ্জাম প্রকাশ্য বিক্রিয়কালে স্থানীয়দের হাতে ধরা পরেন ৩য় শ্রেণীর এক কর্তা। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে উপস্থিত যুকদের ৪০ হাজার টকা দিয়ে ক্ষমা চান হাসপাতালের সিনির স্টাফ নার্স। সরকারি এ হাসপাতালে সাধারন মানুষদের স্বল্প মুল্যে সঠিক চিকিৎসা প্রদানের জন্য জিপসনা,সফরোল,গজ ব্যান্ডজ বিপি ব্লেড ও প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য অপারেশন সামগ্রী সরবরাহ থাকে। এছাড়া জরুরি বিভাগে সরকারি সরবরাহ বাদেও রোগিদের টোটকা প্রেসক্রিপশন লিখে দেন জরুরি বিভাগের কতিপয় কর্মরতরা। এ সকল সামগ্রী থেকে অল্প কিছু ব্যবহার করে বাকিটা জমা করে সপ্তাহে একদিন বিক্রি করে দেন এসব কর্তাব্যক্তিরা। সবশেষ ১৪ জুলাই ভোররাতে জরুরী বিভাগ থেকে চিকিৎসা সামগ্রী বস্তায় করে রিক্সাযোগে রওয়ানা হলে স্থানীয় যুবকদের কাছে হাতেনাতে ধরা পরেন তিনজন। স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে,জরুরী বিভাগে অবৈতানিক কর্মচারী সাকিল হোসেন বস্তাবন্দী করে আর ওসমান ও হৃদয় রিক্সায় তুলে দেন। জরুরি বিভাগ থেকে হাসপাতালের মুল ফটকে পৌছাতেই স্থানীয় কয়েকজন যুবক রিক্সার গতিরোধ করে সামনের একটি ওষুধের দোকানে নিয়ে যায়। এসময় ওসমান ও হৃদয়কে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা অকপটে জরুরি বিভাগের সিনিয়র স্টাফ নার্স মিলন ঢালীর কথা স্বীকার করেন। রোগির ট্রলিতে বস্তা বহনকারী ওসমান হোসেন জানান বস্তায় কি ছিল আমি জানিনা মিলন ঢালির অনুরো আমি ট্রলিতে করে নিয়ে যাচ্ছিলাম। বিষয়টি মুঠোফোনে মিলন ঢালিকে জানালে তিনি ছুটে আসেন ঘটনাস্থলে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের একাধিক স্টাফ জানান, মিলন ঢালির ওই চোরাই মাল যারা ধরেছেন তারা প্রথমে তিন লাখ টাকা দাবি করেন। তখন হৈচৈ শুরু হয়। এসময় পরিস্থিতি সামাল দিতে মিলন ঢালি তাদের হাতে পায়ে ধরে ৪০ হাজার টাকা দিয়ে চোরাই মালসহ মুক্ত হয়।এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স মিলন ঢালি তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেন।জরুরি বিভাগের ইনচার্জ মোফাজ্জেল হোসেন বলেন,এঘটনা সম্পর্কে আমি কিছুই জানিনা কারন জরুরি বিভাগের লকারের চাবি থাকে মিলন ঢালির কাছে।যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা.হারুন অর রশিদ জবাবদিহিকে বলেন,বিষয়টি তিনি জানার পরে মিলন ঢালির কাছে জানতে চান এবং মিলন ঢালি অস্বীকার করেন। এঘটনার তদন্তপুর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। অন্যদিকে চাঞ্চল্যকর এ বিষয়ে নিয়ে হাসপাতাল জুড়ে ব্যাপক কানাঘুষা চলছে। সচেতন মহলের দাবি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষে কঠোর হস্তক্ষেপ।