মণিরামপুর(যশোর)প্রতিনিধি
ভাইয়ের অগভীর নলকুপ দখল নেওয়র জন্য আদালতে পাল্টা পাল্টি মামলা দায়ের হয়েছে। এ বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা ঝড় উঠেছে।মামলা সূত্রে জানাযায়, মণিরামপুর উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের মহর আলীর ছেলে শফিয়ার রহমানসহ ৫ ছেলে জমি ক্রয় করেন ঢাকুরিয়া মৌজা ৫০ নং আরএস খতিয়ানের ৩১৭ নং দাগ ৩২ শতক জমি রেকর্ডিও মালিক মোছাঃ লালমতি বিবি, কবির আহাম্মেদ, হাবিবুর রহমান ও তবিবুর রহমানের কাছ থেকে গত ৫ জুন ২০০৭ সাল ইং তারিখে কবলা দলিল নং ২৭৫৫। সে থেকে ওই জমি দখল করে সেখানে তারা জমির চার পাশ বেড়া দিয়ে বিভিন্ন গাছ ও একটি অগভীর নলকুপ স্থাপন করে অন্যর ফসলে জমিতে পানি বিক্রি করে আসছে। শফিয়ার রহমানের নামে পল্লী বিদ্যুৎ সংযোগ মিটার হিসাব নং ১০১১০১২১৮৪৭৪৬ ও বিআরডিবি সেচ লাইসেন্স নং-২৯৪। ভাইদের ফাসানোর জন্য বোন হাজিরা খাতুন স্বামী আবু মুছা বিভিন্ন রকম ফন্দি আঁটে। কিন্তু কোন সুযোগ না পেয়ে পূর্বে মালিকের নামে কিছু জমি রেকর্ড হয়। সে সুযোগ তারা কাজে লাগিয়ে ৩১৭ নং দাগ থেকে ৬ শতক জমি দলিল করে নেন একই গ্রামের মৃত মকসেদ আলীর স্ত্রী জোহরা বেগমের কাছ থেকে। সব চেয়ে মজার বিষয় হলো শফিয়ার রহমান ১৭ বছর ধরে জমি ক্রয় করে ভোগ দখল করে আসছে। জোহরা বেগম কোন দিন ওই জমির উপর আসেনি। সে হাজিরা খাতুনের কথা মতো ৬ শতক জমি বিক্রি করে আবার পাশ উল্লেখ করা হয়েছে যেখানে অগভীর নলকুপ স্থাপন করা সেই অংশ। ভুক্তভুগি শফিয়ার রহমান জানায়, আমরা জমি ক্রয় করেছি ৩১৭ নং দাগে মোট ৩৮ শতক জমি তার মধ্যে আমরা ক্রয় করেছি ৩২ শতক। কিন্তু কাগজে জমি আছে ৩৮ শতক ম্যাপে জমি ৩৪ শতক বাকী সেখানে বাড়তি ২শতক জমি আছে। সে আমাদের সাথে শত্রæতা মূলোক ভাবে ডিপটিউবওয়েল দখল নেওয়ার জন্য তারা বিভিন্ন ভাবে হয়রানী করে আসছে। এলাকায় কোন বিচার না পেয়ে আদলতে মামলা করেছি। সিআর নং ৬২১/২০২৪ ইং। হাজিরা বেগম জানায়, আমি জমি ক্রয় করেছি ডিপটিউবওয়েল যে পাশে আছে সে পাশ উল্লেখ করে। কারণ ডিপ টিউবওয়েলটি আমার। যে কারণে আদলতে জমি দখল নিতে ১৪৪ধারা মামলা করেছি। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় আলোচনা সমালোচনা ঝড় উঠেছে।