1. jitsolution24@gmail.com : admin :
  2. shantokh@gmail.com : Sharif Azibur Rahman : Sharif Azibur Rahman

বিএনপি নেতা ইউনুস এখন কৃষকলীগ নেতা

  • প্রকাশের সময় রবিবার, ৭ জুলাই, ২০২৪
  • ৩৩ বার সংবাদটি পাঠিত

মোস্তাকিম আল রাব্বি সাকিব 

মনিরামপুর উপজেলা কৃষক লীগের সহ-সভাপতি খ্যত ইউনুস আলী গাজী। যার শূন্য থেকে উত্থান শুরু হয় ৯০ দশক থেকেই। মনিরামপুর উপজেলার ১০নং মশ্বিমনগর ইউনিয়নের নোয়ালি গ্রামে তার জন্ম। তার পিতা তুরাব আলী গাজি। সরেজমিনে নোয়ালি গ্রামে গেলে জানা যায়, ইউনুস আলী গাজীর পিতা তুরাব গাজী স্থানীয় ভাবে চোর নামে খ্যত। ৯০ দশকের শেষের দিকে অর্থাৎ ১৯৯১-৯২ সালে স্থানীয় ভাবে ইউনুস আলীও নামাবিধ অনিয়ম ও অভিযোগে জর্জরিত হলে এলাকায় থাকা তার জন্য দুর্বিষহ হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে সে পাড়ি দেন মালেশিয়াতে৷ দীর্ঘদিন তিনি মালেশিয়াতে থাকার সুবাদে অবৈধ পন্থায় কামাতে শুরু করেন অঠেল টাকা।


মালেশিয়াতে ইউনুস আলীর পরিচিত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ীর মারাফতে জানাগেছ, প্রথমে সে মালেশিয়াতে এসে মানুষের বাড়ি বাড়ি কাজ শুরু করেন, এতে তার বিদেশ থাকতে কষ্টকর হয়ে যায়। পরবর্তীতে সে শুরু করেন দেশ থেকে মালেশিয়াতে লোক নিয়ে আসা। এভাবেই শুরু হয় ইউনুস আলীর আদম ব্যবসার উত্থান। ৯০ এর পর থেকে বাড়তে শুরু তার টাকার পরিমান। আদম ব্যবসার সুবাদে গড়ে তুলেন অবৈধ টাকার পাহাড়। ধিরে ধিরে শরু করেন রাজনীতি তে প্রবেশ। প্রথম তার রাজনৈতিক উত্থান শুরু হয় মালেশিয়া বিএনপির মধ্য দিয়ে। মালয়েশিয়া বিএনপির বড় ডোনার হিসাবে এই ইউনুস আলী কাজ শুরু করেন। কিন্তু গন্ডগোলটা বাধে যখন ইউনুস আলী দেখলেন ২০১৮ সালে বিএনপি নির্বাচনে আসলেন না। কারন তার প্রথম থেকে টার্গেট ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন করে চেয়ারম্যান হওয়া।গত ২০২১ সালে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ১০ নং মশ্বিমনগর ইউনিয়ন থেকে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে তার প্রথম নির্বাচনী সংগ্রাম শরু হয় কিন্তু তৎকালীন নৌকা মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল হোসেনের কাছে তিনি পরাজয় বরণ করেন।নির্বাচনে হেরে যাবার পর থেকে থেমে থাকেননি তিনি। নির্বাচনে হেরে গিয়ে তিনি বুঝতে পারেন টাকা সব হবে না লাগবে রাজনৈতিক পদ পদবি বা বড় নেতার ছত্রছায়া। শুরু হলো ইউনুস আলীর পদের লোভ কি ভাবে ক্ষমতাশিত দলের পদ কেনা যায়। অবশেষে তিনি মনিরামপুর উপজেলা কৃষক লীগের সহ-সভাপতি পদ বাগাতে সক্ষম হন।ইউনুস আলী গাজীর জন্মস্থান নোয়ালী গ্রামে খোজ নিয়ে জানা দেখা গেলো, গ্রামে তিনি গড়ে তুলেছেন আলিশান এক বিলাশ বহুল বাড়ি। সম্প্রতি ঈদুল আজহা উপলক্ষে গোটা মশ্বিমনগর ইউনিয়ন ব্যপি ১৫০০ পাঞ্জাবি বিতরণ করেন। প্রায়সই তিনি ত্রাণ দেন বলে দাবি করেন অনেকে।ভালো মানুষের এই চেহারার পেছোনে লুকিয়ে আছে বিশাল এক আদম ব্যবসায়ীর রূপ। গোপন সূত্র মতে জানা গেছে। মালেশিয়াতে কাজ দিবে বলে প্রায় ২০০ মত মানুষের কাছ থেকে নিয়েছেন ১০/১৫ লক্ষ টাকা করে। তার মধ্যে নিয়ে গিয়েছেন কিছু মানুষ কে বাকিদের আজ না হয় কাল নিবো বলে ঘুরিয়ে যাচ্ছেন। যদি কেউ তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ বা অনিয়মের প্রতিবাদ করেন তবে তাকে নানাবিধ হুমকি যেমন তোর টাকা আর ফেতর হবে না বিদেশ ও যাওয়া হবে না বলে হুমকি দেন। অভিযোগ আছে মালেশিয়াতে নিয়ে গিয়ে মেরে ফেলে দিয়ে সারাধণ মৃত্যু দাবি করে দেশে লাশ ফিরিয়ে দেবার।

বিস্তারিত দ্বিতীয় পর্বে….

সংবাদটি সেয়ার করে পাশে থাকুন

একই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved  2024
Design by JIT SOLUTION