মনিরামপুর(যশোর)প্রতিনিধি
যশোরের মনিরামপুরে হিজড়াকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় রমজান আলী বাবু (২৭) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে মনিরামপুর থানার সেকেন্ড অফিসার মোঃ বাসার ও সাব ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ আতিকুজ্জামান ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। একই সাথে হত্যার কাজে ব্যবহৃত বাবুর হেফাজতে থাকা ছুরি উদ্ধার হয়েছে।
বাবু মনিরামপুর উপজেলার কামালপুর গ্রামের আহম্মদ আলীর ছেলে।
আজ শনিবার বিকেলে যশোর শহরতলির মুড়ুলি মোড় থেকে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় বাবুকে গ্রেফতার করে ডিবির উপপরিদর্শক (এসআই) মফিজুল ইসলাম। এরপর সন্ধ্যায় বাবুকে নিয়ে তাঁর কামালপুরের বাড়িতে আসে পুলিশ। সেখান থেকে পুলিশ হত্যার কাজে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করে।
ডিবির উপপরিদর্শক মফিজুল ইসলাম দৈনিক পূর্বাঞ্চলকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এসআই মফিজুল বলেন, গ্রেফতার বাবু পুলিশকে জানিয়েছেন হিজড়া পলির সাথে তার বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল। সেই সূত্রে পলির মাছনা মোড়ল পাড়ার বাড়িতে যাতায়াত ছিল বাবুর। পলি ওই বাড়িতে একাই থাকতেন। বৃহস্পতিবার রাত ৯ টার দিকে পলির ফোন পেয়ে তার বাড়িতে যান বাবু। এরপর শারীরিক সম্পর্কে জড়ান তাঁরা।
বাবু জানিয়েছেন, এরপর পলি ঘুমিয়ে পড়লে তিনি চুরির উদ্দেশ্যে ওই ঘরের মূল্যবান জিনিসপত্র খুঁজতে থাকেন। এক পর্যায়ে পলির ঘুম ভেঙ্গে গেলে তিনি তাকে জড়িয়ে ধরে পুলিশে দিতে চেয়েছিলেন। তখন ছাড়া পেতে বাবু নিজের কাছে থাকা ছুরি দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে পলিকে হত্যা করে পালিয়ে যান।
বাবু আরও জানিয়েছেন, পলির ঘরে চুরির পরিকল্পনা তার দীর্ঘদিনের। কিন্তু পলিকে হত্যার কোন পরিকল্পনা তাঁর ছিল না।
এসআই মফিজুল ইসলাম বলেন, পলিকে হত্যা করে চুরির মালামাল নিয়ে পালাতে যশোর শহরে আসেন বাবু। পলির মোবাইলে পাওয়া বাবুর নম্বরের সূত্র ধরে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সূত্রমতে, মনিরামপুরের খানপুর ইউনিয়নের ঘুঘুদা গ্রামের আব্দুল খালেক গাজীর সন্তান পলি। বেশ কয়েক বছর ধরে বাবার ভিটা ছেড়ে পলি একই ইউনিয়নের মাছনা মোড়ল পাড়ায় পাকা বাড়ি করে সেখানে একাই বসবাস করে আসছিলেন। শুক্রবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে পুলিশ ওই বাড়ি থেকে পলির রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে। এই ঘটনায় নিহতের ভাই মিজানুর রহমান বাদী হয়ে মনিরামপুর থানায় অজ্ঞাত আসামিদের নামে মামলা করেছেন।