শফিয়ার রহমান, মণিরামপুর
অসহয় ভ্যান চালকে ফারুক হোসেনের দীর্ঘদিন ধরে নিজ পৈত্রিক জমির উপর বাড়ি ঘর উচ্ছেদ
করার জন্য বার বার বাড়ি ঘর ভাংচুর, মারপিট ও পুলিশ দিয়ে বিভিন্ন প্রকার হুমকী ধামকী প্রদান
করে আসছে ওয়াজেদ আলীগংরা। অবশেষে ভুক্তভোগী ফারুক হোসেন বাদী হয়ে বিজ্ঞ সিনিয়র
জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট আমলী আদালতে মামলা দায়ের করেছে। মামলার নং সিআর ৬০৮/২০২৪।
মামলা সূত্রে জানাযায়, মণিরামপুর উপজেলার ঢাকুরিয়া গ্রামের আব্দুল গনির ছেলে অসহয় ভ্যান
চালক ফারুক হোসেন (৪২) তাদের পৈত্রিক জমি ঢাকুরিয়া মৌজা বাস্ত ২ নং দাগে ৩১ শতক
জমির উপর তার বাপ দাদারা বসত করে আসছে। কিন্তু ওই জমি থেকে ফারুকদের বিভিন্ন ভাবে
নির্যাতন করে ওয়াজেদ আলীগংরা। তারা এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় কোন বিচার না পেয়ে ফারুক
হোসেনের পিতার নামে একই মৌজায় ৪ নং দাগে ১০ শতক জমি পুকুর নামে রেকর্ড। সেই
জমির পুকুর ভরাট করে দেড় বছর আগে টিনের ছাঁউনী টিনের বেড়া ও রান্না ঘর তৈরি করে
ফারুক হোসেন স্ত্রী, ছেলে মেয়ে মা বাবাকে নিয়ে সুন্দরভাবে সংসার পরিচালনা করে আসছে।
সেখানেও নজর পড়ে ওয়াজেদ আলীগংদের। ২৪ জুন আবারো ওয়াজেদ আলীগংরা অকথ্য ভাষায় গালি-
গালাজ করতে করতে লাঠি দা দিয়ে ফারুকের বাড়িতে প্রবেশ করে বাড়ি ঘর ভাংচুর ও ঘরে মধ্যে
ফ্রিজ, টিভিসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র নষ্ট করে প্রায় দেড় লক্ষ টাকা ক্ষয়ক্ষতি করে তাদের নিঃম্ব করে
দিয়েছে। ফারুক হোসেন জানায়, ওয়াজেদ আলীগংরা আমার পরিবারকে বারবার মারপিট করে
আবার থানায় মোটা অংকের টাকা বিনিময় মিথ্যা অভিযোগ করে বার বার পুলিশ এনে হয়রানী
করে। থানার এসআই মলায় বসু ও এএসআই শ্যামল সরকার কারণে আমি ও আমার ছেলে ফিরোজকে
বাড়িতে ঠিক মতো থাকতে পারিনা। রোববার ওয়াজেদ আলীরা আমার বাড়ি ঘর ভাংচুর ও মারপিট
করে বিষয়টি গ্রামের সবাই জানে। পরে দিন আবার এএসআই শ্যামল সরকার বাড়িতে এসে
অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও বিভিন্ন প্রকার হুমকী ধামকী দিচ্ছে। আমাকে ধরার জন্য ২৮ জুন রাত
৩টার দিকে সদর থানার কাজিপুর গ্রামে হাচান আলী আমার ভগ্নিপতিকে মারপিট করে
এসআই মলায় বসু ও এএসআই শ্যামল সরকার। তাদের টাকার মোহে পড়ে পাগল হয়ে গেছে এই
দুই পুলিশ। এলাকায় ও থানায় আমি কোন বিচার না পেয়ে আদালতে একটি মামলা করেছি।
মামলার নং সিআর ৬০৮/২০২৪ইং। মামলার আসামী টগর হোসেন জানায়, জমি নিয়ে একটি
বিরোধ আছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা থানায় পাঁচ বার অভিযোগ করে কোন ফল পেলাম না।
তিনি আরো বলেন আমি কোন মামলা করেনি। পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে ফারুকে ধরার জন্য
তার বোনের বাড়িতে যেতে পারে।