শফিয়ার রহমান,মণিরামপুর
মণিরামপুরে পল্লীতে এক অসহয় ভ্যান চালকের পরিবারকে নিজ ভিটে মাটি থেকে উচ্ছেদ করার জন্য বেপরোয়া হয়ে উঠেছে অজেদ আলীগংরা। তারা বাড়ি ঘর ভাংচুর, ও দফায় দফায় মারপিট করে উল্টো মামলা দিয়ে হয়রানী করে চলেছে। পরিবারটি নিরুপায় হয়ে পড়েছে। উর্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন পরিবারটি। সূত্রে জানাযায়, মণিরামপুর উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের আব্দুল গনীর ছেলে অসহয় ভ্যান চালক ফারুক হোসেন (৪৫) ঢাকুরিয়া মৌজা খতিয়ান নং ২৬১ বাস্ত ২ নং দাগে ৩১ শতক তার বপের পৈত্রিক জমি। ওই জমির উপর তার বাপ দাদা পূর্ব পুরুষেরা বসবাস করে আসছে। কিন্তু ওই জমি থেকে যাতাযাতের জন্য সরকারী ভাবে কোন রাস্তা না থাকায় একই গ্রামের মৃত অবেদ আলীর ছেলে অজেদ আলী (৬৫) জমির উপর দিয়ে তারা যাতায়াত করতো। পারিবারিক ভাবে ফারুকদের সাথে কান বিরোধ বাঁধলে অজেদ আলীরা রাস্তা কেটে যাতায়াতের পথ বন্ধ করে দেয় এবং তাদের মারধোর করে। তাদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য একই মৌজায় ৪ নং দাগে ১০ শতক জমি আছে। সেখানে গত দেড় বছর আগে এই জমির উপর টিনের চাল বেড়া দিয়ে ফারুক স্ত্রী, দু’সন্তান, মা-বাবাকে নিয়ে সুখ দুঃখ নিয়ে বসবাস করে আসছে। অজেদ আলী এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় সে অন্যায় অত্যাচার করে পার পেয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। রোববার সকাল ৯টার সময় মৃত অবেদ আলীর ছেলে অজেদ আলী (৫৬), অজেদ আলীর ছেলে কদম আলী (২৩), আব্দুল সামাদের ছেলে টগর আলী (৫০) ও মৃত রহম আলীর ছেলে শাহিদুল ইসলাম (৬০) হঠাৎ তাদের উচ্ছেদ করার জন্য বাড়ি ঘর ভাংচুর, ফারুক ও ছেলে ফিরোজ হোসেন (১৮) কে মারপিট করে আবার থনায় উলল্টো অজেদ আলী ফারক ও ছেলের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করে আসছে। পরের দিন সোমবার দিন পুলিশ ঘটনা স্থানে গিয়ে চলে আসার পর আবার অজেদ ও টগর শাপল দিয়ে মাথায় অঘাঁত করে ভ্যান চালক ফারুক হোসেনের। বর্তমান ফারুক হোসেন যশোর সদর হাসপাতে চিকিৎসাধীন আছে। টগর আলী জানায়, আমাদের শরিকের জমি তারা বেশি দখল করে রাখছিল। আমিন এনে জমি সমান করে ভাগ করে দেওয়া হয়। এসব বিষয় নিয়ে তারা আমাদের বিভিন্ন প্রকার সমস্যা করছে। রোববার ও সোমবার তারা আমাদের মারপি করেছে। তদন্ত কর্মকতা থানার এএসআই শ্যামল সরকার জানান, রোববার অজেদ আলী থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছে। আমি সোমবার দিন দু’পক্ষকে থানায় আসার কথা বলে চলে আসি। বিকালে ফারুক লোকজন নিয়ে অজেদ আলী ও টগরকে মারপিট ভাংচুর করেছে। বিষয়টি জেনে এসআই আল-আমিন গিয়ে ছিলো।