স্টাফ রিপোর্টারঃ যশোরের মণিরামপুরে ট্রাকভর্তি সরকারি ৫৫৫ বস্তা চাল জব্দ করেছেন প্রশাসন। শনিবার (৪ এপ্রিল) বিকেলে পৌর এলাকার বিজয়রামপুরের ভাই ভাই রাইচ মিলের গুদাম থেকে পুলিশের সহায়তায় এই চাল জব্দ করেন ইউএনও আহসান উল্লাহ শরিফী।সন্ধ্যায় রাইচমিলের পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং ট্রাকভর্তি চাল থানা হেফাজতে নেয় পুলিশ। এই ঘটনায় পুলিশ মামলা করছে। চালগুলো শনিবার বিকেল তিনটার দিকে উপজেলা খাদ্য গুদাম থেকে ট্রাক ভরে পার করছিলেন মামুন। তখন চাতালের সামনে থেকে পুলিশ ট্রাকসহ চালগুলো জব্দ করেএসময় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমা খানম, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা( ওসি) রফিকুল ইসলাম, ইনসপেক্টর (তদন্ত) শিকদার মতিয়ার রহমান উপস্থিত ছিলেন।মণিরামপুর থানার এসআই তপনকুমার সিংহ বলেন, দুপুরে সরকারি খাদ্য গুদাম থেকে ট্রাকে করে চাল পাচারের খবর পাই। পরে বিজয়রামপুরের ভাই ভাই রাইচমিলের সামনে এসে ট্রাকটি (ঢাকা মেট্রো-ট-১৬-০০২৭) আটক করা হয়।রাইচমিলের পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ৩০ টাকা দরে ৩৭ মেট্রিক টন কাবিখার (কাজের বিনিময়ে খাদ্য) চাল খাদ্য গুদাম থেকে আমরা তিনজনে কিনেছি। আমার সাথে মণিরামপুর রাইচমিল (চাতাল) মালিক সমিতির সভাপতি শহিদুল ইসলাম ও জগদীশ নামে আরেক ব্যবসায়ী রয়েছেন। আজ (শনিবার) খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফোন দিয়ে গুদাম থেকে চাল সরাতে বলেন। আমি ট্রাকে করে ৩০ কেজির ৫৫৫ বস্তা (১৬ মেট্রিক টন) চাল তুলে আমার গোডাউনে আনছিলাম। তখন পুলিশ এসে চাল আটক করে।মণিরামপুর উপজেলা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান মুন্নার কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিক দের বলেন, রাইচমিলের পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন নিজেকে বাচাতে আমার নামে মিথ্যা কথা বলেছেন। ।মণিরামপুর থানার ইনসপেক্টর (তদন্ত) শিকদার মতিয়ার রহমান বলেন, আমরা চালভর্তি ট্রাকসহ রাইচ মিলের পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুনকে হেফাজতে নিয়েছি। এই ঘটনায় থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আহসান উল্লাহ শরিফী বলেন, চালসহ চাতালের পরিচালককে পুলিশের জিম্মায় দেওয়া হচ্ছে। পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করবেন। তাছাড়া আমরা এই বিষয়ে আলাদা একটি তদন্ত করব।