যশোরে সরকারি ত্রাণ না পেয়ে দেড় শতাধিক নারী-পুরুষ যশোর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বিােভ করেছেন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার এই সময়ে শত শত নারী-পুরুষ বসে বিােভ করেন ত্রাণের দাবিতে। পরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের প্রবেশদ্বার বন্ধ করলে তারা কার্যালয় চত্বরে অবস্থান নেয়।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে যশোর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এই দৃশ্য দেখা গেছে। এর আগে বেলা ১০টার পর থেকে যশোর পৌর কমিউনিটি সেন্টারে ত্রাণ বিতরণ করছিলেন যশোর পৌরসভা। ত্রাণ বিতরণ কালে হাজারো লোক সেখানে ভিড় করে। হুড়োহুড়িতে নাভিশ্বাস অবস্থা তৈরি হয়।এক পর্যায়ে দুপুরে ত্রাণ বিতরণ শেষ হয়ে যায়। তখনও ত্রাণের অপোয় ছিলেন শত শত নারী পুরুষ।
এমতাবস্থায় ত্রাণ না পেয়ে বিুদ্ধ হয়ে উঠেন তারা। পরণে বেলা দেড়টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অবস্থান নেন। যশোর পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ন্ডের বাসিন্দা আনোয়ারা জানান, ‘আমি স্বামী পরিত্যক্তা। এক ছেলে আছে সেও প্রতিবন্ধি। প্রতিদিন ভিা করে সংসার চালাতাম। পৌরসভার বাসিন্দা হয়েও ত্রাণ পাচ্ছি না। পৌরসভার ত্রাণ গরীব লোকে পাই না; পাচ্ছে বড় লোকেরা’।পালবাড়ি পুলিশ লাইন বস্তি এলাকার বাসিন্দা জাফর শেখ জানান, ‘তিন দিন ধরে আসছি কোন ত্রাণ পায়নি। ‘চাল নিতে আসার কারণে তাড়িয়ে দিয়েছে পৌরসভার লোকজন।তাই আমরা ডিসি স্যারের কাছে এসেছি। কিন্তু তিনি আমাদেরও কথা শুনলেন না।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আরিফ জানান, এখন পর্যন্ত যশোর জেলায় ২০ হাজার পরিবারকে সরকারি ত্রান দেওয়া হয়েছে, কিছু লোক ত্রাণ না পেয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয়। পরে পৌরসভার মেয়রে সাথে কথা বলেছি। পরে বিােভকারীরা চলে যায়।এ বিষয়ে যশোর পৌরসভার সচিব আজমল হোসেন বলেন, যশোর পৌরসভায় ৫ হাজার পরিবারকে এখন পর্যন্ত ত্রাণ দেওয়া হয়েছে। যারা বিােভ করেছেন তাদের পৌরসভার ত্রানের তালিকায় তাদের কোন নাম নেই। জেলা প্রশাসক সাহেব, যশোর পৌরসভাকে অবহিত করলে তাদের ডেকে এনে ত্রাণ দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে যশোর পৌরসভা। উল্লেখ্য, শহরের খড়কী এলাকায় যশোরের পুলিশ সুপার আশরাফ হোসেন জেলা পুলিশের নিজ
উদ্দোগে ৩৫০ জন অসহায় মানুষকে ঘরে রাখতে ত্রান বিতরন করেন সেখানেও সকল মানুষের অভিযোগ তারা কেউ সরকারি ত্রাণ পাই নি, এর আগে ৪ দিন পুলিশ সুপার বিভিন্ন এলাকায় খেটে খাওয়া মানুষকে ঘরে রাখতে ত্রান বিতরন করেন৷