যশোরে বালি ব্যবসায়ী আল আমিন (২৭) হত্যাকান্ডের ঘটনায় ১৯জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ এজাহারভুক্ত ১০জনকে আটক করেছে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলো, খড়কীপীরবাড়ি এলাকার মজু খানের মেয়ে নাছরিন সুলতানা তুলি, সিদ্দিক হোসেরে ছেলে পিকুল হোসেন, সোবহানের ছেলে মিন্টু, মন্টু, সিদ্দিক আলীর ছেলে মুকুল, বিপুল, বাবুর ছেলে শিমুল, মিন্টুর ছেলে ইমন, সদর উদ্দিনের ছেলে টুটুল ও রহমত আলীর ছেলে সিদ্দিক।
পুলিশ জানিয়েছে, পূর্বশত্রুতার জের ধরে বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে যশোর শহরের খড়কী এলাকার বালি ব্যবসায়ী আলআমিন, ছোট আল আমিন, সাহেবকে কুপিয়ে জখম করে। এসময় তাদেরকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। আল আমিনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়া তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ১৯জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয়ে ৭/৮জনকে আসামি করে মামলা করা হয়।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, বুধবার বিকাল ৪টার দিকে আল আমিন ও তার বন্ধু শামীম মোটরসাইকেল যোগে নাছরিন সুলতানা তুলির বাড়ির সামনে থেকে যেতে থাকলে তুলি তাদেরকে দাঁড় করায়। এসময় সে লাথি দিয়ে মোটরসাইকেল ফেলে দেয় এবং এবং হুমকি দিয়ে বলে এই রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করবি না।
এরপর রাত সাড়ে ৭টার দিকে খড়কীর লুৎফর রহমানের চা দোকানের সামনে যায় আল আমিন, শামীম, ছোট আল আমিন, জলিল ও সাহেব আলী। এসময় জামাল হোসেন, অনু, হিরা, ইমন, নাছরিন সুলতানা তুলি, বাপ্পা, বিপুল, মুকুল, শিমুল, টুটুল, সিদ্দিক, অমিত, পিন্টু, মন্টু, মিন্টু, পিকুল হোনে, পিয়াস, রনি, জুয়েলসহ অজ্ঞাত পরিচয়ে ৭/৮জন কুপিয়ে আল আমিন, সাহেব আলী ও ছোট আলআমিন গুরুতর জখম করে। স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করে।
এসময় আল আমিনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক খুলনায় রেফার করে। আল আমিনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। ওই রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১০জনকে আটক করে।