কণ্ঠ ডেস্কঃ
গেল বছর থেকে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ভালো ছন্দেই রয়েছে বাংলাদেশ দল। ঘরের মাটিতে একের পর এক প্রতিপক্ষের বিপক্ষে কুড়ি ওভারের এই ফরম্যাটে সিরিজ জিতেই চলছে। আর দলের এমন পারফরম্যান্সে আসন্ন বিশ্বকাপে সমর্থকদের প্রত্যাশাটাও বেশি। তবে টাইগার হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের নজর আসরের গ্রুপ পর্বের ওপর। গত বুধবার দেশ ছাড়ার আগে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে আসন্ন বিশ্বকাপ নিয়ে নিজেদের প্রত্যাশার কথা জানাতে গিয়ে হাথুরু বলেন, ‘আমি জানি, দেশের মানুষের ক্রিকেটারদের কাছে প্রত্যাশা অনেক বেশি। কারণ আইসিসির ইভেন্টে আমরা ভালো পারফরম্যান্স করি। আমাদেরও প্রত্যাশা কম নয়। আমরা কোচ খেলোয়াড়রাও ভালো কিছুর আশাবাদী। আমরা বিশ্বকাপে বেশ কঠিন একটা গ্রুপেই আছি। আপাতত গ্রুপ পর্ব পার হওয়াই মূল লক্ষ্য। সেখান থেকেই পরবর্তী লক্ষ্য নির্ধারণ করব।’ এ সময় বিশ্বকাপকে ঘিরে টাইগারদের বেশ ভালো প্রস্তুতি হয়েছে জানিয়ে কোচ বলেন, ‘আমার মনে হয় প্রস্তুতি বেশ ভালো হয়েছে। চট্টগ্রামে তিন দিনের ভালো ক্যাম্প হয়েছে। জিম্বাবুয়ের সঙ্গে পাঁচটা ম্যাচ পেয়েছি। যেখানে আমরা অনেককেই ম্যাচের বিভিন্ন পরিস্থিতিতে খেলিয়ে দেখেছি। কিছু দুশ্চিন্তা আছে কয়েক জনের পারফরম্যান্স নিয়ে। তবে সব মিলিয়ে ভালোই হয়েছে, আমি খুশি।’ যদিও এর আগে বিশ্বকাপের আগে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আর যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে খেললে ভালো প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। তবে এ প্রসঙ্গে সাকিবের মন্তব্যে দ্বিমত পোষণ করেছেন টাইগার কোচ। এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার কাছে ম্যাচ খেলা মানেই প্রস্তুতি। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে যে কোনো ম্যাচই কঠিন হয়ে উঠতে পারে। শক্তিমত্তায় পার্থক্য থাকতেই পারে। তবে আমি মনে করি, প্রস্তুতি বেশ ভালোই হয়েছে।’ এদিকে জিম্বাবুয়ে সিরিজে ফলাফল বাংলাদেশের পক্ষে থাকলেও দলের পারফরম্যান্স নিয়ে রয়েছে হতাশা। বোলাররা ঐ সিরিজে দুর্দান্ত ফর্ম প্রদর্শন করলেও ব্যাটিং আর ফিল্ডাররা আটকে ছিল ব্যর্থতার বৃত্তে। তবে বিশ্বকাপের আগে এসব ব্যর্থতা কাটিয়ে উঠবে দল বলে মনে করেন টাইগার হেডমাস্টার। বলেন, ‘আমরা কিন্তু কিছু ম্যাচে ভালো শুরু করেছি। আবার কখনো সেটা করতে ব্যর্থও হয়েছি। তেমন ক্ষেত্রে আবার ফিনিশিংটা ভালো ছিল। তবে এটা মাথায় রাখতে হবে, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে যে কোনো কিছুই হতে পারে। আমরা অবশ্যই চাইব টপ অর্ডার সব সময় রান করুক। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচের আগে আমাদের পাঁচটা ম্যাচ রয়েছে। এই জিনিসগুলো নিয়ে কাজ করার সুযোগ পাব। এবং আমি আত্মবিশ্বাসী বিশ্বকাপে সেসব জায়গা শুধরে নিতে পারব।’ তবে হাথুরু এটাও জানে, বিশ্বকাপে ভালো করতে হলে আগে যুক্তরাষ্ট্রের কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে। এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমাদের ঐ দেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে। আমরা আগে ঐ খানে কোনো ম্যাচ খেলিনি, যুক্তরাষ্ট্রে খেলা আমাদের সবার জন্যই নতুন অভিজ্ঞতা। আমাদের টাইমজোন, আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে। আমরা সব ম্যাচই জিততে চাই। এর মধ্যেও মূল খেলোয়াড়দের বিশ্রাম দিতে হবে, ওয়ার্কলোডের কথা মাথায় রাখতে হবে। শারীরিক ও মানসিক বিশ্রামের পাশাপাশি কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার দিকেই মূল মনোযোগ থাকবে।’