কণ্ঠ ডেস্কঃ
হজযাত্রী ও ক্রু নিয়ে বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করেছে ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় বিমান পরিষেবা সংস্থার একটি বিমান। ৪৬৮ জন হজযাত্রী ও ক্রু নিয়ে গারুদার একটি বিমান জরুরি অবতরণ করে। ইঞ্জিনে আগুন ধরে যাওয়ায় বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে বিমান। গত বুধবার বিকেল ৫টা ১৫ মিনিটে এ ঘটনা ঘটে। বোয়িং ৭৪৭-৪০০ সিরিজের ওই উড়োজাহাজটি ইন্দোনেশিয়ার মাকাসার শহর থকে মদিনার উদ্দেশে রওনা হয়েছিল। এক বিবৃতিতে গারুদার নির্বাহী পরিচালক ইরফান সেতিয়াপুত্রা এক বিবৃতিতে বলেন, ‘বিমানটি টেক অফের পরপরই সেটির একটি ইঞ্জিনে আগুন লাগে। সম্ভবত ফ্লাইট শুরুর আগে সেটি ভালোভাবে পরীক্ষা করা হয়নি। আগুন দেখতে পাওয়া মাত্র পাইলট তাৎক্ষণিকভাবে বিমান অবতরণের সিদ্ধান্ত নেন। ইরফান জানিয়েছেন, বিমানটি অবতরণের দুই ঘণ্টার মধ্যে যাত্রীদের জন্য নতুন আরেকটি বিমানের বন্দোবস্ত করে গারুদা। সেই সঙ্গে মেরামতের জন্য গ্রাউন্ডেড করা হয় আগুন লাগা বিমানটিকে। গারুদার ৬০ শতাংশ শেয়ারের মালিক ইন্দোনেশিয়ার সরকার। করোনা মহামারির সময় ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার কারণে ব্যাপক মাত্রায় আর্থিক লোকসানের শিকার হয়েছে এই পরিষেবা সংস্থাটি। সেই ক্ষয়ক্ষতির ধাক্কা এখনো পুরোপুরি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়নি। যদিও এমনটি হওয়ার কথা নয়। কারণ, বিশ্বের বৃহত্তম দ্বীপরাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়ায় শত শত দ্বীপ রয়েছে। এসব দ্বীপের বাসিন্দাদের এক দ্বীপ থেকে অন্য দ্বীপে যেতে বিমানের ওপর নির্ভর করতে হয়। তবে গত দুই বছরে কয়েকটি বিমান দুর্ঘটনা ঘটায় অনেক ইন্দোনেশীয় অভ্যন্তরীণ ভ্রমণের বেলায় বিমান এড়িয়ে চলছেন। সূত্র : দি ইনডিপেনডেন্ট