কণ্ঠ ডেস্ক
ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) আয়োজিত বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ ওয়ানডে ফরম্যাটে যতটা সফল, ধারাবাহিক ক্রিকেট খেলেছে টি-টোয়েন্টিতে ঠিক উল্টো। ৩৮ ম্যাচে জয় মাত্র ৯টি। যার ৬টিই বাছাই পর্বে। মূল পর্বে কেবল ৩টি। মনে করিয়ে দেওয়া ভালো- হংকং, আয়ারল্যান্ড, আফগানিস্তানের মতো প্রতিপক্ষের কাছে হারের লজ্জাও পেয়েছে।ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম সংস্করণে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ভালো নয়। তবুও এবারের বিশ্বকাপে ভালো করার এবং প্রত্যাশার চেয়ে বেশি দূর যাওয়ার স্বপ্ন দেখছে। শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণ আফ্রিকা, নেদারল্যান্ডস ও নেপালের বিপক্ষে ভালো করে দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়ার ইচ্ছা বাংলাদেশের। সেই চ্যালেঞ্জ নিয়েই গতকাল দিবাগত রাতে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে দেশ ছেড়েছেন বিশ্বকাপের ১৫ স্বপ্নসারথি।
সমর্থকদের পাশাপাশি ক্রিকেটাররা অকুণ্ঠ সমর্থন এবং আত্মবিশ্বাস পাচ্ছেন তাদের সতীর্থদের থেকেও। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মাশরাফি, মুশফিক, মিরাজরা ছড়িয়ে দিয়েছেন আত্মবিশ্বাসের বার্তা। গ্রুপ ফটোসেশনের ছবি পোস্ট করে মাশরাফি লিখেছেন, ‘সাহস সবসময় গর্জন করে না, শুধু দিন শেষে শান্ত কণ্ঠস্বরে বলে, আগামীকাল চেষ্টা করব। গো অ্যান্ড কিল ইট চ্যাম্পস। সব সময় শুভকামনা আমার প্রাণের দেশ, প্রাণের দলের প্রতি। বাংলাদেশ।’ মুশফিকুর রহিম লিখেছেন, ‘ফি আমানিল্লাহ। ইনশাআল্লাহ আমরা আসন্ন বিশ্বকাপে ভালো করবো। আমার ভাইদের জন্য শুভ কামনা।’
মিরাজ লিখেছেন, ‘দলের সাথে সরাসরি না থাকলেও একজন সমর্থক ও শুভাকাঙ্খী হিসেবে সবসময় আমিও এই দলেরই একজন… টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এই পথচলায় সবার প্রতি শুভকামনা।’
বিশ্বকাপের এই দলের সঙ্গে থাকতে পারতেন সাইফউদ্দিনও। পেস বোলিং অলরাউন্ডারকে পয়লা মে’র মধ্যে আইসিসির কাছে পাঠানো দলে রেখেছিলেন নির্বাচকরা। কিন্তু জিম্বাবুয়ে সিরিজে প্রত্যাশা মাফিক পারফরম্যান্স না আসায় তাকে বাদ দেন নির্বাচকরা। যা নিয়ে প্রবল সমালোচনা হচ্ছে। দলের সঙ্গে না থাকলেও ছায়া হয়ে আছেন সাইফউদ্দিন, ‘শুভকামনা বাংলাদেশ দলের জন্য।’
সাবেক টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক লিখেছেন, ‘টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গর্জে উঠতে প্রস্তুত। আমার সহকর্মী সতীর্থদের শুভকামনা জানাই তারা বড় একটি কাজে যাচ্ছে। বিশ্বকে বাংলাদেশ ক্রিকেটের আসল চেতনা দেখাতে হবে।’