কণ্ঠ ডেস্ক
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, মন্ত্রণালয় থেকে আমরা যত সেবা দেই সব সেবাগুলো আমরা একটা রিটেন ফ্লো চার্টের মধ্যে দেব৷ যেখানে সেবা দেওয়ার সময় এবং প্রক্রিয়া উল্লেখ থাকবে৷ কোন প্রক্রিয়া কত সময়ের মধ্যে দেব এটাও করে ফেলবো৷ এটা করে ফেলতে পারলে আমাদের পুরো সেবাটাই ই-গভর্ননেন্সে পরিপূর্ণ রূপ দিতে পারবো৷বুধবার (১৫ মে) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউটে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত ইনোভেশন শো-কেসিং উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলে৷
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী অর্থবছর শুরু হবে এক মাসের মধ্যে৷ জুনে বাজেট শুরু হবে৷ আমি কয়েকটি কাজ করতে অনুরোধ করবো আপনাদেরকে৷ আমরা যে সেবা প্রদান করি সেই প্রক্রিয়াটাকে ডিজিটালাইজ করা৷ আমাদের ডিজিটালাইজেশনের ধারণাটা পরিস্কার না৷ কোনো সেবা প্রদান করার প্রক্রিয়া যদি লিপিবদ্ধ না থাকে আমরা ইংরেজিতে বলি (বিজনেস রুলস স্পেসিফিকেশন)৷ এটা যে কোনো অটোমোশন বা ই-গভর্নেন্স-র পূর্বশর্ত৷ যে সেবাটি আপনি দেবেন সেটা ফ্লো-চার্টের মতো সাজানো থাকা উচিত৷ আমাদের আগামী বছরের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রথম উদ্ভাবনী হওয়া উচিৎ আমাদের সেবাদান প্রক্রিয়া লিপিবদ্ধ করে ফেলা৷ এগুলো যার যার বিভাগে যিনি নেতৃত্ব দিচ্ছেন তার কাছ থেকে অনুমোদন নেওয়া৷ খুব সহজ; আমি কি সেবা দিচ্ছি এবং সেবাটা কি প্রক্রিয়ায় দেব৷ স্টেপ বাই স্টেপ লিপিবদ্ধ থাকবে৷ আগামী বছর আমাদের উদ্ভাবন পরিকল্পনা একটা অন্যতম অনুষঙ্গ হবে এটা৷ প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখন আর আরজিসিতে একটা কোম্পানি রেজিস্ট্রেশন করতে কাউকে আমাদের অফিসে আসতে হয় না৷ দেশে বা বিদেশে যেখানেই থাকবে সেখানে বসেই কিন্তু একটা কোম্পানির রেজিস্ট্রেশন করা সম্ভব৷ আমাদের আইআরসি, এক্সপার্ট পারমিশন, ইমপোর্ট পারমিশন কিন্তু অনলাইনে সেবা দানের জন্য পদক্ষেপ নিয়েছি৷ যেখানে আমাদের সমস্যাটা সমাধান করতে হবে সেটা হলো জিনিসটাকে একই লাইনে আনতে হবে৷ একটা প্রক্রিয়া অটোমেট করলেন আরেকটা করলেন না তাহলে তো হবে না৷ এই জায়গাগুলোতে আমাদের উদ্ভাবনী প্রক্রিয়াগুলো চিন্তা করি এবং সেটাকে আমরা ডিজিটালাইজ করার চেষ্টা করি৷প্রধানমন্ত্রী আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে এখন স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলেছেন; আমরা সে লক্ষ্যে কাজ করছি৷
টিটু বলেন, প্রধানমন্ত্রী চারটি পিলারের ওপর স্মার্ট বাংলাদেশকে দাঁড় করিয়েছেন৷ প্রথমত স্মার্ট সিটিজেন, তাদেরকে নিয়েই আমাদের সকল কর্মপরিকল্পনা৷ কোন সিস্টেম ডিজিটাল করলাম কিন্তু পেমেন্ট মেথড ডিজিটাল করলাম না তাহলে কিন্তু পরিকল্পনাটা সু-সম্পূর্ণ হলো না৷ আপনি সেবা দিচ্ছেন কিন্তু পেমেন্টটা কিভাবে নিচ্ছেন সেটাও কিন্তু ভাবতে হবে৷ এটাকে ডিজিটালাইজ করতে হবে৷
তিনি বলেন, আমাদের প্রত্যেকটা জিনিসের কর্মপরিকল্পনা লিপিবদ্ধ করে ডিজিটালাইজ এবং সম্পূর্ণ করতে পারলেই আমাদের সার্থকতা৷
তিনি আরও বলেন, আমরা বাংলা এবং ইংরেজি একেবারে গুলিয়ে ফেলছি৷ হয় পুরোটা ইংরেজিতে বলি অথবা পুরোটা বাংলায় বলি৷ আমার মনে ইংরেজি যা লিখি সেটা ইংরেজি লেটার দিয়ে লিখলে ভালো হয়৷ আমাদের এই প্রাকটিসটা শুরু করা উচিৎ৷