সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে বাংলাদেশের স্বাধীনতা পূর্ণতা পায়। একটি স্বাধীন দেশের রাষ্ট্রনায়কের প্রত্যাবর্তনে এ দেশের লক্ষ-কোটি মানুষ আনন্দে উদ্বেলিত হয়।
আজ রোববার যবিপ্রবির কেন্দ্রীয় মসজিদে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন-২০২১ উপলক্ষে আয়োজিত দোয়া-মোনাজাত পূর্ব সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন এসব কথা বলেন।
অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন পাকিস্তানের কারাগার থেকে যুক্তরাজ্যে যান, তখন সেখানে তাঁকে রাষ্ট্রনায়ক এবং বাঙালি জাতির পিতা হিসেবে অভ্যর্থনা জানানো হয়। ভারতে পৌঁছালেও একইভাবে তাঁকে অভ্যর্থনা জানানো হয়। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশে যখন প্রত্যাবর্তন করেন, তখন সারা বাংলাদেশের মানুষ ঢাকায় এসে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন এবং তাঁকে অভ্যর্থনা জানান।
অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন আরও বলেন, মাত্র সাড়ে তিন বছরের শাসনামলে একটি জাতিকে লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য যে যে ‘গ্রাউন্ড ওয়ার্ক’ করার দরকার, বঙ্গবন্ধু সেটাই করেছিলেন। তিনি ছিলেন একজন দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়ক।
সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন যবিপ্রবির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোঃ আব্দুল মজিদ, ডিনস কমিটির আহ্বায়ক ড. মো. নাসিম রেজা, রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব, শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ড. হাসান মো. আল-ইমরান, কর্মকর্তা সমিতির সহ-সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম, কর্মচারী সমিতির সভাপতি শওকত ইসলাম সবুজ প্রমুখ।
বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের কর্মসূচির শুরুতে সকাল ৯টায় যশোর শহরের বকুলতলাস্থ বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন। সেখান থেকে ফিরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকস্থ বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে একইভাবে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। কোভিড-১৯ অতিমারী মোকাবিলায় বেলা ১১টার সময় যবিপ্রবির শিক্ষক সমিতি, কর্মকর্তা সমিতি ও কর্মচারীর সমিতির প্রতিনিধিদের কাছে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যদের সুরক্ষার জন্য মাস্ক তুলে দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা তাদের নিজস্ব ল্যাবে এ মাস্ক তৈরি করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের আয়োজনে দিনব্যাপী কর্মসূচিতে যবিপ্রবির বিভিন্ন অনুষদের ডিন, চেয়ারম্যান, দপ্তর প্রধান, জ্যেষ্ঠ শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।