কণ্ঠ ডেস্কঃএমপি হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিমের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে র্যাবের দায়ের করা দুই মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে পুলিশ। প্রতিবেদনে ইরফানকে দায় থেকে মুক্তি দিয়ে পুলিশ দাবি করেছে, তার কাছে কোনো অস্ত্র ও মাদক ছিল না। তার সহযোগী জাহিদের কাছ থেকে এই অস্ত্র ও মাদক পাওয়া গেছে।
সোমবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) লালবাগ বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার কুদরত-ই খুদা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ইরফান সেলিমের দুই মামলার ফাইনাল প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে যে অস্ত্র ও মাদক মামলা ছিল তা থেকে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
অভিযানে পাওয়া অস্ত্র ও মাদক কি হলো জানতে চাইলে এ কর্মকর্তা বলেন, অস্ত্র ও মাদক তার সহযোগীর কাছে পাওয়া গেছে। তার কাছে পাওয়া যায়নি। এখন সেগুলো মালখানায় আছে। পরবর্তীতে আদালতে জমা দেয়া হবে।
ডিএমপির চকবাজার থানায় দায়ের হওয়া এই দুটি মামলারই বাদী ছিল র্যাব। মামলার দুই মাসের মাথায় এই প্রতিবেদন দেয়া হলো।
গত ২৬ অক্টোবর ইরফান সেলিম ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে ধানমন্ডি থানায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা করেন নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদ খান। মামলার আসামিরা হলেন- ইরফান সেলিম, তার বডিগার্ড মোহাম্মদ জাহিদ, হাজি সেলিমের মদিনা গ্রুপের প্রটোকল অফিসার এবি সিদ্দিক দীপু এবং গাড়িচালক মিজানুর রহমানসহ অজ্ঞাত আরো দুইতিন জন।
মামলা দায়েরের পর পুরান ঢাকায় চকবাজারের ২৬ দেবীদাস লেনে হাজি সেলিমের বাসায় অভিযান চালিয়ে ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী জাহিদকে হেফাজতে নেয় র্যাব। বাসায় অবৈধভাবে মদ ও ওয়াকিটকি রাখার দায়ে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের দুজনকে এক বছর করে কারাদণ্ড দেয়। পরে মাদক ও অস্ত্র আইনে তাদের বিরুদ্ধে দুটি করে মোট চারটি মামলা দায়ের করে র্যাব।