শার্শা প্রতিনিধি:করোনার এ সময়ে বেনাপোল স্থলবন্দর চেকপোষ্ট দিয়ে দেশি বিদেশী যাত্রী গমনাগমন বাড়ছে। ভারত থেকে করোনা নেগিটিভ সার্টিফিকেট ছাড়াও আসছে যাত্রী। বিষয়টি সরেজমিনে খোজ খবর নিতে ও করোনা সুরক্ষা পরিরোধে মঙ্গলবার দুপুরে বেনাপোল চেকপোষ্ট ও ইমিগ্রেশন এলাকা পরিদর্শন করেছেন যশোর জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা। বেনাপোল বন্দর প্রশাসনিক ভবন-চেকপোষ্ট, কাষ্টম,ইমিগ্রেশন,ও নোম্যান্সল্যান্ড এলাকা পরিদর্শন করেন। বিভিন্ন বিষয়ে খোজ খবর নেওয়া হয়। আন্তর্জাতিক চেকপোষ্ট বেনাপোল দিয়ে যাত্রী গমনাগমনে ও সুরক্ষার বিষয়ে সর্বচ্ছ গুরুত্ব দিয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে কাজ করার নির্দেশনা ও পরামর্শ দেওয়া হয় বলে জানান শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: ইউছুপ আলম। এসময় উপস্তিত ছিলেন যশোর জেলা প্রশাসন মোহাম্মদ তাজিমুল ইসলাম খান,কাষ্টম ডেপুটি কমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান,বন্দর উপ পরিচালক আব্দুল জলিল,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পূলক কুমার মন্ডল,বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুন খান, ইমিগ্রেশন ওসি আহসান হাবিব সহ প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তারা। এ দিকে অনেকেই জানিয়েছেন ভারত থেকে বিজনেস ভিসা নিয়ে আসা ৪০/৫০ জন ভারতীয় পাসপোর্ট যাত্রী প্রতিদিন সকালে আসে আর বিকালে অথবা সকালে ফিরে যান।তারা ফিরে যাওয়ার সময় যে করোনা রিপোর্ট নিয়ে যায় সেটা সম্পূর্ণ জাল। বিভিন্ন কম্পিউটার দোকান থেকে এ গুলো বের করা হচ্ছে।ইমিগ্রেশন ওসি তদন্তের নিয়োগ দেওয়া কিছু পাবলিক এনজিওর মাধ্যমে এ কাজ গুলো করা হচ্ছে।বিনিময় নেওয়া হচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা।এই পাবলিক এনজিওরা গড়ে তুলেছেন একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট। তাদের ইমিগ্রেশনে চলাফেরা দেখলে মনে হয় প্রশাসনের বড় ধরনের কর্মকর্তা। যদি এই সিন্ডিকেটের সদস্যদের সনাক্ত করতে হয় তাহলে ইমিগ্রেশন ও কাস্টমসের সিসি ক্যামেরা চেক করলে সব পাওয়া যাবে।