যশোর অফিস: যশোর শহরের আরবপুর মোড়ে একাধিক মামলার আসামি বিশে হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। আসামি সাইফুল ইসলাম সাগর বালিয়া ভেকুটিয়ার গ্রামের জসিমের বাড়ির ভাড়াটিয়া দেলোয়ার হোসেনের ছেলে। মুল হোতা আসামী সাগরকে শনিবার ভোরে গ্রেফতার সহ হত্যা কাজে ব্যবহৃত চারটি বার্মিজ চাকু উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে বিশে হত্যার রহস্য উদঘাটন করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সালাউদ্দিন শিকদার এক প্রেসব্রিফিং করেন৷ পরে আসামিকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুদ্দীন হোসাইন জবানবন্দি গ্রহন শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আদালত ও পুলিশ সূত্র জানায়, সাগর হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে বলে, একটি বালির ডিবি কেনা নিয়ে বিশের সাথে পার্টনারশীপ হয়। কিন্তু যে টাকা দিয়েছিলো তার দিগুনেরও বেশী টাকা বিশেকে দেয়া হয়। এরপরও বিশে সাগরের কাছে মোটা অংকের টাকা দাবি করে । টাকা না পেয়ে ওইদিন বিশে সাগরকে মারপিট করে। পরে সাগর অন্য আসামিদের ডেকে আনে। আরবপুর মোড়ে যেয়ে বিশেকে ছরিকাঘাত করে হত্যা করে। এরপরই তারা যে যার মত সটকে পরে।
এদিকে এঘটনায় নিহত বিশের ভাই শুভ হাওলাদার (৩০) থানায় মামলা করেন, অভিযোগে তিনি বলেন, তার ভাই মৃত আমিনুর রহমান @ বিশে (৪৫) ব্যবসা করিয়া জীবিকা নির্বাহ করিত। আসামী সাগর ও তার ভাই একই সাথে বালির ব্যবসা করিত। সেই কারনে বাদীর ভাই আসামী সাগর এর কাছে কিছু টাকা পাইতো। আসামী সাগর বাদীর ভাইয়ের বালির ব্যবসার পাওনা টাকা না দেওয়ায় শত্রুতা শুরু হয় এবং ভিকটিম আমিনুর রহমান @ বিশে’কে খুন করার জন্য ষড়যন্ত্র করিতে থাকে। একপর্যায় বিশে’কে হত্যা কারা হয়।
উল্লেখ্য, এরআগে গত ২৪ ডিসেম্বর এ হত্যা মামলায় আটক আরো তিনজন আসামী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তারা হলেন, সদর উপজেলার বালিয়া ভেকুটিয়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে আশরাফুল ইসলাম আকাশ, মৃত আনছার আলীর ছেলে তরিকুল ইসলাম কর্ণ ও একেএম শামসুদ্দিনের ছেলে তাহাসিনুল ইসলাম নাঈম। তারা সকলেই হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন।