নিজস্ব প্রতিনিধি: আশাশুনি উপজেলার দক্ষিণ বড়দল মন্দিরে পূজা করাকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার দক্ষিণ বড়দলে এঘটনা ঘটে। বর্তমানে গুরুত্বর আহতদের সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল ও আশাশুনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে। এঘটনায় আশাশুনি থানায় একটি অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় নীরান ম-লের বাড়ীর পিছনের রাস্তা থেকে অভিজিত শীল ও বাপ্পী শীলকে উঠিয়ে নিয়ে নীরান ম-লের ঘরের ভিতরে আটকে রেখে বেধরক মারপিটের করতে থাকে সন্ত্রাসীরা। এ খবর শুনে আহতদের পিতা হারনশীলসহ অরবিন্দু শীল, নিতাই শীল, মৃঞ্জয় শীল, অনর শীল, রেবা শীল, স্বপন শীল আহতদের উদ্ধার করতে গেলে তাদেরও মারপিট করতে থাকে। সন্ত্রাসীরা এক পর্যায়ে রেবা শীলের কানের দুল ছিড়ে নেয় এবং হাতে আঘাত করে শাখা ভেঙ্গে দেয় ও বাম হাতের কব্জি ভেঙ্গে যায়। উদয় ম-ল লোহার শাবল দিয়ে অরবিন্দু শীলের মাথায় আঘাত করে। দেবব্রত ম-ল লোহার শাবল দিয়ে স্বপন শীলের ডান হাতে আঘাত করে, এতে তার ডান হাতের বৃদ্ধা আঙ্গুল ভেঙ্গে যায়। উদয় ম-ল গরানের লাঠি দিয়ে নিতাই শীলের হাতে আঘাত করে, এতে তার বাম হাতের ২টি আঙ্গুল ভেঙ্গে যায়। নীরন ম-লের গরান কাঠের আঘাতে অনর শীলের বাম হাত ভেঙ্গে যায়। চেয়ারম্যান ম-ল গরানের লাঠি দিয়ে অভিজিত শীলের মাথায় ও গাড়ে আঘাত করে। দেবব্রত ম-ল ও শীব ম-ল ঘরে আটকে রেখে বাপ্পী শীলকে লোহার শাবল দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। ভোজন ম-ল গরানের লাঠি দিয়ে সুজন শীলের বাম হাতে আঘাত করে আঙ্গুল ভেঙ্গে দেয়। উত্তম ম-ল ও ফনিন্দ্রনাথ ম-ল গরানের লাঠি দিয়ে হরেন শীল ও অনুপ শীলকে এলোপাতাড়িভাবে আঘাত করে, এতে তাদের মাথায় গুরুত্বর জখম হয়। স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে আশাশুনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। গুরুত্বর জখম হওয়ায় স্বপন শীল ও অরবিন্দু শীলকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার সময় এলাকাবাসী আহতদের উদ্ধার করতে গেলে সন্ত্রাসীরা মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে অপপ্রচার চালাচ্ছে এবং হামলাকারীরা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে প্রতিপক্ষদের ফাঁসাতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এব্যাপারে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী।