1. jitsolution24@gmail.com : admin :
  2. shantokh@gmail.com : Sharif Azibur Rahman : Sharif Azibur Rahman

বেনাপোলে ভূমিহীন দেখিয়ে বিত্তশালীদের খাস জমি বন্টন ১৪৪ ধারা জারি

  • প্রকাশের সময় বুধবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২০
  • ১২০ বার সংবাদটি পাঠিত

বেনাপোল প্রতিনিধিঃ বেনাপোলে ভূমিহীন দেখিয়ে বিত্তবান পরিবারের মধ্যে খাস জমি বরাদ্দে সহযোগিতার অভিযোগ উঠেছে বেনাপোল ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নায়েব আবু সাঈদের বিরুদ্ধে। এঘটনায় ন্যায় বিচারের দাবী জানিয়ে ভুক্তভোগি পরিবার আদালতে মামলা দায়ের করলে ১৪৪ ধারা জারী হয়েছে। ভুক্তভোগি পরিবার জানায়, তাদের ক্রয়কৃত ৩৭ শতাংস জমির মামলা চলাকালিন সময় ওই নায়েব অর্থনৈতিক সুবিধা নিয়ে কয়েকজনকে এ জমি বরাদ্দ দেয়। জানা যায়, বেনাপোল পোর্ট থানার বড়আঁচড়া মৌজায় তিন তলা বাড়ি থাকা সত্বেও সেই সব পরিবারকে জমি বরাদ্দ দিয়ে সরকারী নিয়ম নিতি উপেক্ষা করেছেন নায়েব আবু সাঈদ। এতে যে কোন সময় ওই জমি নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হতে পারে বলেও আশঙ্কা করছে ওই পরিবার। বেনাপোল পোর্ট থানার ছোট আঁচড়া গ্রামের আব্দুর রহমান, মাসুদুর রহমান, মাহবুবুবর রহমান (পিতা আলী আকবর সফি উদ্দিন) অভিযোগ করে বলেন, তার পিতা ১৯৭৮ সালে বড় আঁচড়া মৌজায় ছোটআঁচড়া মাঠে গাতিপাড়া গ্রামের রবিউল ও সামাউল ইসলাম এর নিকট থেকে ৩৭ শতাংশ জমি ক্রয় করে। ওই জমি ২৪/০৫/১৯৭৮ ইং তারিখে রেজিষ্ট্রি হয়। যার খতিয়ান নং ১১০৩ আর এস নম্বর ৮৭৮,৯৭৫,৯৭৩। ১৯৯০ সালে মাঠ জরিপে ওই জমি আমাদের মাঠের পর্চা দিলেও প্রিন্ট পর্চা আমাদের দেয়নি। এই সুযোগে বেনাপোল ভুমি অফিসের তহশিলদার আবু সাঈদ ৮ জনকে ওই জমি বরাদ্দ দেয় সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের যোগ সাজসে। সরকারী বিধিমালায় আছে কোন জমি নিয়ে বিজ্ঞ আদালতে মামলা চলকালে ওই জমি বরাদ্দ দেওয়া যাবে না। তারপরও আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে আবু সাঈদ সাহেব বড় অংকের অর্থের মাধ্যেমে এ জমি বরাদ্দ দেয় কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে। জমির প্রিন্ট পর্চা না পাওয়ায় ওই জমির রেকর্ড সংশোধন মামলা করা হয় । যার মামলা নং ৫৪/১৬ তারিখ ১৩/০৭/২০১৬ । অভিযোগকারীরা আরো বলে, যে ৮ জন এর নামে জমি বরাদ্দ দিয়েছে তারা সকলে বিত্তশালী ও স্বচ্ছল পরিবারের। জমির বরাদ্দ যাদের নামে দিয়েছে তারা হলো বেনাপোল পোর্টথানার গাজিপুর গ্রামের রজব আলীর ছেলে শের আলী, ছোট আঁচড়া গ্রামের শের আলীর মেয়ে মনোয়ারা খাতুন, একই গ্রামের লিয়াকত আলীর মেয়ে ছকিনা খাতুন, বড়আঁচড়া গ্রামের মনির হোসেন এর ছেলে বাবু ,বড়আচড়া গ্রামের বাহাদুর হোসেনের মেয়ে বিউটি খাতুন, নামজগ্রামের আব্দুল কাদের এর ছেলে নুর ইসলাম, গাতিপাড়া গ্রামের বরকত এর মেয়ে আমেনা খাতুন, ছোটআচড়া গ্রামের ছবেদ আলীর ছেলে লিয়াকত আলী। এর মধ্যে শের আলীর তিন তলা একটি বাড়ি রয়েছে এবং অন্যান্য সকলের বাড়ি ও জমি আছে। আমরা এ সংক্রান্ত বিষয়ে বেনাপোল পোর্ট থানায় ভুমি কর্মকর্তা আবু সাঈদ এর নামে একটি সাধারন ডায়েরী করেছি। যার নাম্বার ৩২৮, তারিখ ৯/১২/১৮। এছাড়া গত ১৪/০১/২০ ইং তারিখে বিজ্ঞ যশোর জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করি। বিজ্ঞ আদালত যাতে কোন রক্ষক্ষয়ী সংঘর্ষ না হয় তার জন্য ১৪৪ ধারা জারী করেছে। আমরা ওই ৩৭ শতাংশ জমি ১৯৭৮ সাল থেকে ভোগ দখল করে আসছি। বেনাপোল ভুমি অফিসের কর্মকর্তা আবু সাইদ এর কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, যারা অভিযোগ করেছে তাদের নামে কোন জমি নেই। সরকারী বিধি মালা অনুযায়ী ভুমিহীনদের মাঝে এসব জমি বরাদ্দ করা হয়েছে।

সংবাদটি সেয়ার করে পাশে থাকুন

একই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved  2024
Design by JIT SOLUTION