1. jitsolution24@gmail.com : admin :
  2. shantokh@gmail.com : Sharif Azibur Rahman : Sharif Azibur Rahman
শিরোনামঃ

দলের দায়িত্বপ্রাপ্তদের পরিকল্পনার অভাবেই বিএনপি প্রার্থীর ভরাডুবি

  • প্রকাশের সময় শনিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২০
  • ১১৫ বার সংবাদটি পাঠিত

রাাজনৈতিক কণ্ঠঃ সদ্য সমাপ্ত ঢাকা-১৮ আসনের উপ-নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকের শোচনীয় পরাজয় হয়েছে। আর এতে নিজ দলের দায়িত্বপ্রাপ্তদের পরিকল্পনার অভাবকেই দুষছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা।

দলের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা জানান, ভোটের দিন কীভাবে দায়িত্বপালন করবেন, সে বিষয়ে তাদের কাছে কোনো নির্দেশনাই ছিল না। আমান উল্লাহ আমানের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় পর্যায়ের একটি নির্বাচন পরিচালনা কমিটি থাকলেও ওই কমিটির কেউই তাদের সঙ্গে আন্তরিকতার সঙ্গে কথাও বলেননি।

পরিচয় গোপন করার শর্তে স্থানীয় এক নেতা জানান, গত ২৪ অক্টোবর থেকে ঢাকা-১৮ আসনে গণসংযোগ শুরু হয়। এতে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেখানোর জন্য কেন্দ্রীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটি শুধু সেক্টরের মধ্যে ভাড়াটে লোক দিয়ে বড় বড় মিছিল করেছে। অনেক কেন্দ্রীয় নেতাকে আসতে বাধ্যও করা হয়েছে। অথচ স্থানীয় নেতা-কর্মীদের গণসংযোগে দেখা যায়নি।

তিনি আরো জানান, এ উপ-নির্বাচনে বিএনপির প্রত্যাশা ছিল অন্তত ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাওয়া, নেতা-কর্মীদের সক্রিয় করা ইত্যাদি। এ লক্ষ্যে প্রার্থী এস এম জাহাঙ্গীর হোসেনের উদ্যোগের কমতি না থাকলেও নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের পরিকল্পনা একদমই ছিল না।

ঢাকা-১৮ আসনের উপ-নির্বাচন উপলক্ষে যুবদল ঢাকা উত্তরের সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর হোসেনসহ আটজন মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। এর মধ্যে জাহাঙ্গীর, মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক কফিল উদ্দিন ও তরুণ ব্যবসায়ী বাহাউদ্দিন সাদীর মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল। এদের মধ্যে কফিলকে দু-একদিন গণসংযোগে জাহাঙ্গীরের সঙ্গে দেখা গেলেও সাদীকে একবারের জন্যও দেখা যায়নি।

দলের নির্ভরযোগ্য সূত্র ও সাদী সংশ্লিষ্টরা জানান, ঢাকা-১৮ আসনের উপ-নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বঞ্চিতদের পক্ষ থেকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উত্তরার ভাড়া বাড়িতে কিছু নেতা-কর্মী ডিম নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় স্থানীয় পর্যায়ের ১৮ নেতা-কর্মীকে বহিষ্কার করা হয়। যদিও মহাসচিব এই বহিষ্কারের বিপক্ষে ছিলেন। কিন্তু ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সভাপতি এম এ কাইয়ুমসহ অন্যান্যদের চাপে ওই নেতা-কর্মীদের বহিষ্কার করা হয়।

এরপর থেকে সাদীর সঙ্গে দলের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন নেতা গুলশানে দলের চেয়ারপার্সনের কার্যালয় ও উত্তরায় সিনিয়র এক নেতার বাসায় বৈঠক করেন। কিন্তু সাদী’র শর্ত ছিল- আগে বহিষ্কৃত নেতাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করতে হবে, এরপর নির্বাচনে একযোগে কাজ করা হবে। কিন্তু তার ওই কথা বাস্তবে রূপ পায়নি।

তবে সূত্র বলছে, এস এম জাহাঙ্গীর দলের সবাইকে নির্বাচনের মাঠে নামানোর পক্ষে ছিলেন। এ লক্ষ্যে কফিলসহ অনেকের বাসায়ও গিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কাজের কাজ কিছুই হয়নি, কাউকেই মাঠে পাওয়া যায়নি।

সংবাদটি সেয়ার করে পাশে থাকুন

একই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved  2024
Design by JIT SOLUTION