ফয়সাল হাসানঃ সারা বাংলাদেশের মাধ্যে যশোর একটি ঐতিহ্যেও শহর।যশোর জেলার সরকারি ৪ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবস্থান। ৪টির মধ্যে বৃহত্তর মনিরামপুর উপজেলাতে অবস্থিত ২ টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় তা হলো মনিরামপুর সরকারি উচ্চ বালক বিদ্যালয় অন্যটি হলো মনিরামপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠান দুটিতে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত শিা কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে আনেক আগে থেকে প্রতিষ্ঠান দুটিতে ৭০০ এর বেশি শিার্থী অধ্যায়ন রত আছেন। উল্লেখ্য প্রতিবছর ৩০০-৪০০ শিার্থী ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি পরীা দিয়ে মাত্র ৬০ জন শিার্থী অথ্যায়নের সুয়োগ পায়। এই ২ টি প্রতিষ্ঠানের সভাপতি নিয়মঅনুযায়ী অত্র উপজেলার নির্বাহী অফিসার হয়ে থাকেন। মূল বিষয় হলো সব কিছুর অন্তরালে বড় ধরনের একটা প্রতারণার শিকার হচ্ছে শিার্থীরা এটা হয়তো অনেকে বুঝতেই পারেনা।সরকারি প্রতিষ্ঠানে একজন ছাত্রের সরকার কতৃক বেতন নেয়ার কথা ১০ টাকা যদি সে বৃত্তি প্রাপ্ত হয় তা হলে তাউ মওকুফ হবে। কিন্তু একজন ছাত্রের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে ১০৫ টাকা প্রতি মাসে। টিফিন ফি ৭৫ টাকা,কম্পিউটার ফি ২০ টাকা,বেতন ১০ টাকা। হিসাব করলে বছরে একজন ছাত্রের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে ১২৬০ টাকা।বাৎসরিক সরকারি বেতন ১২০ টাকা বাদ দিলে ১১৪০ টাকা উদবিত্ত নেওয়া হয় যা যদি ৭০০ জন শিার্থীর কাছ থেকে নেওয়া হয় বছর শেষে দাড়ায় মোট ৭৯৮০০০ টাকা উদবিত্ত নেওয়া হয় ২টি প্রতিষ্ঠানে।আপর দিকে নজর দিলে দেখা যাবে ২ টা প্রতিষ্ঠানই মনিরামপুর এ বোর্ড পরীার কেন্দ্র তার দরুণ এস,এস,সি পরীার জন্য ১ মাস বন্ধ,জেএসজি পরীার জন্য অর্ধমাস বন্ধ,পিএসসি পরীার জন্য ১০ দিন বন্ধ ,শীতকালিন ছুটি,গরমের ছুটি, বাৎসরিক বন্ধ, সব মিলিয়ে ৬ মাস মত ভাগে ভাগে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালিত হয় এবার আসা যাক টিফিনের খরচের দিকে প্রতিবছর ৯০০ টাকা টিফিন বাবদ খরচ নেওয়া হয় যেহেতেু কাস ৬ মাস পাঠদান চলে সেহেতু খরচ ধরা যাক ৫০০ টাকা। উদবিত্ত থেকে গেলো ৪০০। উল্লেখ্য বছর শেষে বাৎসরিক ভোজ দেওয়া হয় সেখানে খরচ ধরা যাক ১৫০ টাকা থেকে গেলো ২৫০ টাকা এবার আসা যাক কম্পিউটার খরচ বাবদ যে ২০ টাকা নেওয়া হয় তার দিকে ,একজন ছাত্রের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এখন পর্যন্ত কাস করার জন্য কম্পিউটারে মুখ টা দেখতে পালাম না কিন্ত প্রতিমাসে নেওয়া হয় ২০ টাকা করে। তাহলে যদিও কম্পিউটার বিল বছরে ২৪০ টাকা নেওয়া হয় সেখানে খরচ বাবদ ১০০ টাকা বাদ দিলে ও ১৪০ টাকা থেকে যায়। এখন পর্যন্ত উদবিত্ত থেকে গেলো ৩৯০ টাকা। তবে এখন প্রশ্ন হলো এই উদবিত্ত ৩৯০ টাকা কি বাবদ খরচ করা হচ্ছে কেন বা নেওয়া হচ্ছে। একজন শিার্থীর কাছ থেকে প্রতি বছর ৩৯০ টাকা টাকা করে নিয়ে যদি ওই একই টাকা ২ টি প্রতিষ্ঠান ৭০০ ছাত্র ছাত্রীর কাছ থেকে নেয় তবে বছর শেষে উদবিত্ত টাকার পরিমান দাড়ায় ২৭৩০০০ টাকা। এই বড় অঙ্গেও টাকার ভাগ কে নিচ্ছে বা এই টাকা কোথায় খরচ হচ্ছে এ বিষয় জানতে চোখ রাখুন প্রতিদিনের কণ্ঠে।