ইব্রাহিম খলিলঃ সাতক্ষীরার শ্যামনগরে বিয়ের প্রলোভন দখেয়িে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষন করেছে মিজানুর রহমান (২৩) নামে এক যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে গত রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে শ্যামনগর উপজেলা সদরে ইসমাইলপুর গ্রামে মোল্যা টাইল্স নামীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। সে বুড়িগোয়ালীনি ইউনিয়নের পূর্ব দূর্গাবাটি গ্রামের জামায়াতের আমির ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যামান হাজি নজরুল ইসলামের ছেলে। পুলিশ ধর্ষক মিজানুর রহমানকে গ্রেফতার করেছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, দেবহাটা উপজেলার পাঁচপোতা গ্রামের হাফিজুর রহমানের মেয়ে ও দেবহাটা সম্মেলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী পূর্ব দূর্গাবাটি গ্রামে নানা বাড়িতে বেড়াতে যাওয়া আসার সুবাদে মিজানুরের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে মিজানুর। গত রোববার রাত ১১ টার দিকে বিয়ের কথা বলে মিজানুর তাকে ডেকে নিয়ে ইসমাইলপুর গ্রামে মোল্যা টাইল্স নামীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বিশ্রাম রুমে রাতভর ধর্ষন করে। সোমবার সকালে মেয়ে বিয়ের জন্য চাপ দিলে মিজানুর কালক্ষেপনের একপর্যায়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে মেয়ের ব্যবহৃত মোবাইলফোনটি ছিনিয়ে নেয় এবং প্রেমের সম্পর্কের সমস্ত আলামত নষ্ট করে দেয়। অপর সহযোগী বিশ্বনাথের মটর সাইকেলে যোগে তাকে বাড়িতে পৌছে দিয়ে আসে।
এঘটনায় ধর্ষিতা দেবহাটা সম্মেলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম স্কুল ছাত্রী (১৭) শ্যামনগর থানায় ৩ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেছে। অন্য আসামীরা হলো, ভামিয়া গ্রামের স্বপন মন্ডলের ছেলে বিশ্বজিৎ মন্ডল ও একই গ্রামের হরসিৎ মন্ডলের বিশ্বনাথ মন্ডল।
শ্যামনগর থানার ওসি নামজুল হুদা মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে মিজানুর রহমান ধর্ষনের কথা স্বীকার করেছে। ধর্ষিতা ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (সামেক) পাঠানো হয়েছে। ধর্ষক মিজানুরকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। অপর আসামীদেরকে আটক করার জন্য চেষ্টা অব্যহত আছে বলে ওসি জানান।