নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, দেশের সব জায়গায় নারীদের শ্লীলতাহানি, ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার হতে হচ্ছে। তাই বলতে চাই, জনগণ আর মানববন্ধন দেখতে চায় না, দেখতে চায় প্রাণবন্ধন। জনগণ আর মুখে শ্লোগান শুনতে চায় না, অ্যাকশন দেখতে চায়। আমাদেরকে এ অগণতান্ত্রিক শক্তির বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক শক্তিকে ডাইরেক্ট অ্যাকশনের মধ্য দিয়েই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে।
সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। ‘সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার এবং ইতিহাস বিকৃতির প্রতিবাদে’ এ কর্মসূচি পালন করে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল। কর্মসূচি উপলক্ষে সকাল থেকেই বিভিন্ন ব্যানার নিয়ে কয়েক হাজার নেতাকর্মী মানববন্ধনে অংশ নেয়।
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে এক নারীর ওপর নির্যাতনের ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, দেশের জনগণ দেখতে চায়- বিরোধী দল হিসেবে আমরা কী করছি। আমাদের কথা বলার চেয়ে দায়িত্ব হল কিছু করা। মানুষ এখন মুক্তি চায়, মানুষ এখন সরকারের পদত্যাগ চায়। শেখ হাসিনাকে যদি পদত্যাগ করাতে পারেন তাহলে প্রতিদিন এমন ঘটনা ঘটবে না, আমাদেরকে রাস্তায় প্রতিবাদ করতে আসতে হবে না।
দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে ক্ষমতাসীনদের ইতিহাস বিকৃতির সমালোচনা করে তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানকে অপমান করা মানে মুক্তিযুদ্ধেকে অপমান করা। জিয়াউর রহমানকে অপমান করা মানে মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করা। তাকে যারা অপমান করে বা তার সম্বন্ধে অরুচিশীল বক্তব্য দেয় তা যুদ্ধাপরাধের সমতুল্য। একদিন তাদের বিচার বাংলাদেশের মাটিতে হবেই।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, বর্তমান প্রশাসন-পুলিশ দিয়ে কিছু হবে না। নারীদের রক্ষার জন্য নাগরিক সমাজকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে পাড়া-মহল্লায় পাহারা বসাতে হবে। তিনি অভিযোগ করেন, ধর্ষণ, নারী নির্যাতনের সঙ্গে যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা জড়িত থাকছেন। প্রশাসনের নিস্ক্রিয়তায় সারা দেশে ‘ধর্ষক’ বাহিনী গড়ে উঠেছে। এদের হাত থেকে নারীদের রক্ষা করতে হবে।
রিজভী আরও বলেন, এমসি কলেজে তরুণী ধর্ষণ, পাহাড়ি নারী ধর্ষণের ঘটনাগুলো পৈশাচিক ও বর্বর। এ ধরনের ঘটনা এখন নিত্য নৈমিত্তিক। যা ঘটছে তা রক্ত ও হাড় শীতল করে দেয়। নোয়াখালীতে যা ঘটেছে তা সব বর্বরতাকে হার মানিয়ে দেয়। মানবতার বিরুদ্ধে এত বড় অপরাধ আর হতে পারে না।
স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েলের পরিচালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, স্বেচ্ছাসেবক দলের গোলাম সারোয়ার, আনু মোহাম্মদ শামীম আজাদ, সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, সাদরেজ জামান, আখতারুজ্জামান বাচ্চু, সরদার মোহাম্মদ নুরুজ্জামান, ইয়াসীন আলী, নাজমুল হাসান, ঢাকা মহানগরের নজরুল ইসলাম, গাজী রেজওয়ানুল হোসেন রিয়াজ প্রমুখ।