1. jitsolution24@gmail.com : admin :
  2. shantokh@gmail.com : Sharif Azibur Rahman : Sharif Azibur Rahman

মণিরামপুরে শারিরীক ও বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী অবস্থায় ২০ বছর ধরে ভ্যান চালালেও দরিদ্র আজিজের কপালে সরকারি কোন সহায়তা মেলেনি

  • প্রকাশের সময় মঙ্গলবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০
  • ৪৯ বার সংবাদটি পাঠিত

মণিরামপুর প্রতিনিধি : মণিরামপুর উপজেলার শ্যামকুড় ইউনিয়নের ঘুঘুরাইল গ্রামের মৃত খোদা বক্স মোড়লের পুত্র শারিরীক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী দরিদ্র আব্দুল আজিজ (৫৫) হাত ও মাথা কাঁপানোর পাশাপাশি ঘাড় বেকিয়ে ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। তিনি ভ্যান চালিয়ে পৌর শহরের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে শফিকুলের চায়ের দোকানে বসলে তাকে দেখে উপস্থিত লোকজন কষ্টভরা মনে বলতে থাকেন আহারে এমন প্রতিবন্ধী অবস্থায় কিভাবে উনি ইঞ্জিন ভ্যান চালাচ্ছেন। এসময় উপস্থিত অনেকেই আশংকা করে বলেন, ওই ব্যক্তি এমন প্রতিবন্ধী অবস্থায় যাত্রী উঠিয়ে ইঞ্জিন ভ্যান চালালে যে কোন সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়তে পারেন। ঠিক এমন সময় তার ছবিটি ক্যামেরায় ধারণসহ এ প্রতিবেদকের কথা হয় প্রতিবন্ধী দরিদ্র ওই ভ্যান চালকের সাথে। সরকারি সাহায্য-সহায়তা প্রাপ্তির বিষয়ে জানতে চাইলে কাঁপতে কাঁপতে ঘাড় একে বেকে তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে বলেন, ২০ বছর ধরে ভ্যান চালিয়ে অতি কষ্টে সংসার চালালেও তিনি কোন ভাতা অথবা সরকারি এক কেজি চালও পাননি। স্থানীয় ইউপি মেম্বর ইউনুচ আলীর কাছে অনেকবার সরকারি সাহায্যের জন্য গেলেও তাকে শুধু অপেক্ষায় থাকতে বলেন। অথচ, বাড়ির পাশে যাদের সরকারি সহায়তা দরকার হয়না তারা অনেক কিছু পেয়ে থাকেন। শ্যামকুড় ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনি তাকে বলেছেন তোমাকে একটি কার্ডের ব্যবস্থা করে দেয়া হবে। কিন্তু তারও কোন খবর নেই। দরিদ্র প্রতিবন্ধী আব্দুল আজিজের পরিবার সম্পর্কে জানতে চাইলে বাঁধ-বাঁধ কন্ঠে তিনি বলেন, তার কোন পুত্র সন্তান নেই। তবে ৪ জন কন্যা সন্তান রয়েছে। প্রতিবন্ধী অবস্থায় ভ্যান চালিয়ে বড় মেয়ে রুপা খাতুনকে ম্যাট্রিক পাস করিয়ে বিয়ে দিয়েছেন। মেঝ মেয়ে লিমা একাদশ শ্রেণীতে অধ্যয়নরত। সেঝ জন আসহা খাতুন পঞ্চম শ্রেণী এবং সবার ছোট আদরী খাতুন চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ে। মেয়েদের লেখাপড়া করানোসহ সংসার চালানোর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কি করব অনেক সময় খেয়ে না খেয়ে দিন পার হয়। তাই আল্লাহ একভাবে চালাবে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান দাবী করেন, প্রতিবন্ধী ভ্যান চালক আব্দুল আজিজের ভাতার কার্ড প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তবে তার স্ত্রীর নামে ভিজিডি’র কার্ড রয়েছে এবং কলেজে পড়া একটি মেয়ের লেখাপড়ার জন্য মাঝেমধ্যে খোঁজ খবর নেয়া হয়ে থাকে।

সংবাদটি সেয়ার করে পাশে থাকুন

একই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved  2024
Design by JIT SOLUTION