1. jitsolution24@gmail.com : admin :
  2. shantokh@gmail.com : Sharif Azibur Rahman : Sharif Azibur Rahman

মুজিবনগরের কথিত পল্লী প্রাণি চিকিৎসক সালাম এখন প্রাণিসম্পদ অফিসের সার্জনের ভূমিকায়:জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা

  • প্রকাশের সময় মঙ্গলবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০
  • ৪৬ বার সংবাদটি পাঠিত

ফয়সাল হাসানঃ মেহেরপুর জেলার মুজিবনগর উপজেলার সোনাপুর গ্রামের ইছারদ্দীর ছেলে কথিত পল্লী প্রাণি চিকিৎসক সালাম এখন মুজিবনগর উপজেলার মত গুরুত্বপূর্ন প্রাণি সম্পদ অফিসের সার্জনের ভূমিকা পালন করছে!যা দেখে মুজিবনগর উপজেলার সচেতন মহলের চক্ষু চড়ক গাছে উঠার মত অবস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছে।আর এজন্য সংশ্লিষ্ট কৃতপক্ষের দায়িত্ব অবহেলাকে দায়ী করছেন তারা। জানা গেছে সালাম কোন প্রকারের পশু চিকিৎসার উপর পড়াশোনা না করেই সরাসরি মুজিবনগর উপজেলা প্রাণি সম্পদ কার্যালয়ে বসে চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁর অপচিকিৎসা।ডেলিভারী থেকে শুরু করে যাবতীয় রোগের চিকিৎসা ও প্রেসক্রিপশন সে করে।আর এজন্যই মুজিবনগর উপজেলার সাধারন মানুষই তাকে মুজিবনগর উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের বড়কর্মকর্তা মনে করে বসেন।সালাম তার দাপট দেখাতে কোনভাবেই কমতি করেনা।হাসপাতালে গরু,ছাগল নিয়ে যাওয়া সাধারন মানুষদের সাথে করেন অসাদাচারন।কিভাবে তিনি ডাক্তার না হয়েও এ বিষয়ে কোন প্রকারের পড়াশোনা ছাড়া প্রকাশ্য প্রাণিসম্পদ অফিসে বসে, অফিসের বাউন্ডডারিতে, কখনো বা অফিসের সামনের ছাউনিতে বসে রোগী দেখেন। কার ক্ষমতার বলে, কোন অদৃশ্য শক্তিতে তা নিয়ে ভাবিয়ে তুলেছে সচেতন মহল।সালামের এত ক্ষমতা ও অনিয়মের অভিযোগ দেখে হতবাক হয়েছে এলাকাবাসী। তবে কি কেউ খোঁজ রাখেনা এ অফিসের এমন ও প্রশ্ন তোলেন অনেকে।আবার কেউ যদি হাসপাতালের ডাক্তারের খোঁজে যান তখনই সালাম তাকে পাল্টা প্রশ্ন করেন বসেন তাকে (সালাম কে) দেখে কি মনে হয়। তখন তিনি নিজেই সেজে যান বড় ডাক্তার। মুজিবনগর উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসে গেলেই দেখা যায় সালাম চিকিৎসাতে ব্যাস্থ। তার বিশাল কর্মযজ্ঞ দেখে বুঝে উঠার উপায় নেই হাসপাতালের প্রকৃত ডাক্তার কে।মুজিবনগর উপজেলার অনেকে চায়ের দোকানে চিমটি কেটে বলেন আমাদের সালাম ই ভালো। পড়তে হলোনা,প্রশিক্ষন নিতে হলোনা অথচ মুজিবনগর উপজেলার প্রাণিসম্পদ অফিসের সার্জনের ভূমিকা পালন করছে।সেই হয়তো সবার চাইতে বেশী ভালো জানে। না হলে তাকে দিয়ে কেন চলে চিকিৎসা। নাকি পশু প্রাণি বলে যাকে তাকে দিয়েই চিকিৎসা দিলেই হলো এমন আলোচনা করেন অনেকে। এ বিষয়ে জানতে কথিত পশু চিকিৎসক সালামের সাথে কথা বললে তিনি জানান তিনি প্রাণিসম্পদ অফিসে সেচ্ছাসেবী হিসাবে কাজ করেন।তার কাছে জানতে চাওয়া হয় তিনি কি সেচ্ছায় গিয়ে সেচ্ছাসেবীর কাজ করেন না প্রাণিসম্পদ অফিসে আরো সেচ্ছাসেবি আছেন যারা প্রাণিসম্পদ অফিসের আওতায় কাজ করেন। তখন তিনি বলেন আমি নিজেই সেচ্ছায় কাজ করি।তখন তার কাছে জানতে চাওয়া হয় আপনি তো সেচ্ছাসেবি, তবে আপনি যে প্রাণিসম্পদ অফিসে বসে প্রাণিসম্পদের অফিসের সামনে, ছাউনিতে বসে গরু,ছাগলের প্রেসক্রিপশন করেন,ডেলিভারী করেন,ছোটখাটো অপারেশন করেন,চিকিৎসা দেন তার কি কোন অনুমোদন আছে। তখন তিনি বলেন নেই। তবে স্যাররা যেদিন না থেকে সেদিন চিকিৎসা করি। এ বিষয়ে জানতে মুজিবনগর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নজরুলের সাথে কথা বললে তিনি জানান সালাম কাজ শিখছে। তখন তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয় সালাম কিভাবে প্রাণিসম্পদ অফিসে বসে গরু ছাগলের চিকিৎসা করে, প্রেসক্রিপশন করে, ডেলিভারী করে তখন তিনি বলেন ডাক্তারও থাকে।তবে আমাদের এ প্রতিবেদকের কাছে থাকা সালামের কর্মকান্ডের ভিডিও ফুটেজে কোন ডাক্তারকে দেখা যায়নি।আর ডাক্তার যদি থাকেনই তবে সালাম কিভাবে প্রেসক্রিপশন করে তা নিয়ে ও প্রশ্ন তোলেন অনেকে । এ বিষয়ে মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুজন সরকার এর সাথে কথা বললে তিনি জানান বিষয়টি আমি শুনলাম। আমি দেখে অবশ্যই যথাযথ ব্যাবস্থা গ্রহন করবো। বর্তমান সময়ে সরকার বাহাদুর যেখানে খামারীদের জন্য নানা ধরনের সুযোগ সুবিধা সহ প্রনোদনার ব্যাবস্থা করছেন ঠিক সেই মুর্হুর্তে এসকল সুবিধাবাদী ভুয়া পল্লীপ্রাণি চিকিৎসকদের খপ্পরে পড়ে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে খামারীরা।তাদের ভুল চিকিৎসায় আগ্রহ হারাচ্ছে খামারী প্রকল্পে। ভবিষ্যতে যাতে করে আর কোন খামারী প্রতারনার স্বীকার না হয় সেজন্য কথিত পল্লীপ্রাণি চিকিৎসক সালামের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যাবস্থা নিতে মেহেরপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা:জাহাঙ্গীর আলম ও মেহেরপুরের সুযোগ্য জেলা প্রশাসক ড.মুনসুর আলম খাঁন এর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী সহ সচেতন মহল।

সংবাদটি সেয়ার করে পাশে থাকুন

একই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved  2024
Design by JIT SOLUTION