আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে ইসরায়েলের ঐতিহাসিক শান্তিচুক্তিতে মধ্যস্থতা করে তিনি এই পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পেয়েছেন বলে জানিয়েছে স্কাই নিউজ।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নরওয়ের রাজনীতিবিদ টিব্রিং-জেড্ডে এ বছর নোবেল পুরস্কারের জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম প্রস্তাব করেন।
নরওয়ের চারবারের নির্বাচিত এই আইনপ্রণেতা ফক্স নিউজকে বলেন, ‘দেশগুলোর মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় শান্তি পুরষ্কারের জন্য মনোনীত অন্যান্য প্রার্থীদের চেয়ে তিনি (ডোনাল্ড ট্রাম্প) আরও বেশি চেষ্টা করেছেন বলেই আমি তাকে যোগ্য মনে করছি।’
গত ১৩ আগস্ট ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে রাজি হয় সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)। এই দুই দেশের ‘ঐতিহাসিক চুক্তির’ কথা ঘোষণা করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো আরব দেশের এই চুক্তি ১৯৪৮ সালে দেশটির স্বাধীনতা ঘোষণার পর তৃতীয় ঘটনা। এর আগে ইসরায়েলের সঙ্গে ১৯৭৯ সালে মিসর ও ১৯৯৪ সালে জর্ডান চুক্তি করেছিল।
নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রবর্তনের পেছনের উদ্দেশ্য ছিল, বিশ্বজুড়ে হানাহানি আর সংঘাত বন্ধে সত্যিকার অর্থে যারা অবদান রেখেছেন বা রাখছেন, তাদের পুরস্কৃত করার মধ্য দিয়ে শান্তির সম্ভাবনার ধারণাকে এগিয়ে নেওয়া।
প্রতি বছর অক্টোবরে নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি পুরস্কার পাওয়া ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের নাম ঘোষণা করে।
২০১৯ সালে শান্তিতে নোবেল পান ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ।
প্রতিবেশী ইরিত্রিয়ার সঙ্গে দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব ও দেশটির মধ্যে জাতিগত সংঘাত নিরসনের কারিগর হিসেবে ভূমিকা রাখার কারণে গত বছরের ১১ অক্টোবর রাজধানী অসলো থেকে নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি শান্তিতে নোবেল বিজয়ী হিসেবে আবি আহমেদের নাম ঘোষণা করে।