1. jitsolution24@gmail.com : admin :
  2. shantokh@gmail.com : Sharif Azibur Rahman : Sharif Azibur Rahman

বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখের-৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

  • প্রকাশের সময় শনিবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০
  • ৮০ বার সংবাদটি পাঠিত

আসাদুর রহমান: বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখের ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী হয়েছে। ১৯৭১ সালের এই দিনে যশোর জেলার গোয়ালহাটি ও ছুটিপুরে পাকবাহিনীর সাথে সম্মুখ যুদ্ধে মৃত্যুবরণ করেন রণাঙ্গনের লড়াকু সৈনিক নূর মোহাম্মদ। পরে যশোরের শার্শা উপজেলার কাশিপুর গ্রামে তাকে সমাহিত করা হয়।

শনিবার সকালে মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান নূর মোহাম্মদ শেখ ১৯৩৬ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি নড়াইল সদর উপজেলার চন্ডীবরপুর ইউনিয়নের মহিষখোলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। যা বর্তমানে নূর মোহাম্মদনগর নামে পরিচিতি লাভ করেছে। তাঁর বাবার নাম মোহাম্মদ আমানত শেখ এবং মার নাম জেন্নাতুন্নেছা।

বাল্যকালেই তিনি বাবা-মাকে হারান। লেখাপড়া করেছেন সপ্তম শ্রেণী পর্যন্ত। এরপর ১৯৫৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি পূর্ব পাকিস্তান রাইফেলসে (সাবেক ইপিআর, বর্তমানে বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশ-বিজিবি) যোগদান করেন এবং দিনাজপুর সীমান্তে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করে ১৯৭০ সালের ১০ জুলাই বদলি হন যশোর সেক্টরে।

পরবর্তীতে তিনি ল্যান্স নায়েক পদোন্নতি পান। মুক্তিযুদ্ধের সময় যশোর অঞ্চল নিয়ে গঠিত ৮নং সেক্টরে অংশগ্রহণ করে দেশ মাতৃকায় যুদ্ধ করেন। যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ক্যাপ্টেন নাজমুল হুদার নেতৃত্বে যশোরের শার্শা উপজেলার কাশিপুর সীমান্তের বয়রা অঞ্চলে পাকহানাদারদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন নড়াইলের এ সাহসী সন্তান (নূর মোহাম্মদ)।

এ সময় এপ্রিল থেকে আগস্ট পর্যন্ত ৮নং সেক্টর কমান্ডার ছিলেন কর্ণেল (অব.) আবু ওসমান চৌধুরী এবং সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ছিলেন মেজর এস এ মঞ্জুর। এদের নেতৃত্বেও প্রাণপণ লড়েছেন নূর মোহাম্মদ।

৫ সেপ্টেম্বর পাকবাহিনীর গুলিতে নূর মোহাম্মদের সহযোদ্ধা নান্নু মিয়া গুরুতর আহত হন। আহত সহযোদ্ধাকে কাঁধে নিয়েই এলএমজি হাতে শত্রু পক্ষের সাথে যুদ্ধ করেছেন, গুলি ছুঁড়েছেন। হঠাৎ করে পাকবাহিনীর মর্টারের আঘাতে নূর মোহাম্মদের হাঁটু ভেঙ্গে যায়। তবুও গুলি চালান প্রিয় মাতৃভূমিকে শক্রমুক্ত করার জন্য। জীবন প্রদীপ নেভার আগে পর্যন্ত তিনি প্রাণপণ লড়াই চালিয়ে যান এবং এক সময় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।

এই বীরের সম্মানার্থে নড়াইল শহর থেকে প্রায় ১১ কিলোমিটার দূরে বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ চত্বরে ৬২ লাখ ৯০ হাজার টাকা ব্যয়ে ‘বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর’ নির্মাণ করা হয়েছে। ২০০৮ সালের ১৮ মার্চ কর্নেল (অব.) আবু ওসমান চৌধুরৗ এ গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর উদ্বোধন করেন।

এই উপলক্ষে নড়াইলে বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখ ট্রাষ্টের উদ্যোগে নড়াইল সদর উপজেলার চন্ডীবরপুর ইউনিয়নের নূর মোহাম্মদনগরে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে। কর্মসূচির মধ্যে শনিবার সকাল সাড়ে ৮টায় পবিত্র কোরআনখানি, বেলা ১১:০০ টায় স্মৃতিবেদিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, ১১:১৫ মিনিটে সশস্ত্র সালাম এবং দুপুরে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

এছাড়া, বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখের পরিবারের সদস্যরা এবং বিজিবি দক্ষিণ-পশ্চিম রিজিওয়নের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা শার্শার কাশিপুরে অবস্থিত কবর জিয়ারতে করেন।

সংবাদটি সেয়ার করে পাশে থাকুন

একই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved  2024
Design by JIT SOLUTION