বেনাপোল প্রতিনিধি: ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়েছে দূর্বৃত্তরা। ফলে বড় ধরনের দূর্ঘটনার আশঙ্কায় ভুগছেন ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারে বার বার বন্দর কর্তৃপক্ষকে বলা হলেও নজরদারী কম। এতে একের পর এক ঘটছে অপ্রিতিকর ঘটনা।বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছেনে, ককটেল বিষ্ফোরনের ঘটনা স্থল তারা পরিদর্শন করেছেন। বিষয়টি নিয়ে পুলিশসহ বিভিন্ন সংস্থ্যা তদন্ত করছে।
জানা যায়, ১৯৭২ সাল থেকে বেনাপোল বন্দরের সাথে ভারতের বাণিজ্যিক যাত্রা শুরু। যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল বন্দর দিয়ে দুই দেশের ব্যবসায়ীদের প্রথম থেকে বাণিজ্যে আগ্রহ বেশি। তবে বন্দরের শ্রমিক নেতৃত্বের দখল দ্বারিত্ব নিয়ে গেল কয়েক বছর ধরে দুই গ্রুপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনায় বন্দর এলাকায় সব সময় উত্তেজনা বিরাজ করছে। প্রাইয় প্রভাব বিস্তার নিয়ে বন্দরে শোনা যায় বোমার আওয়াজ। রাস্তায় চলাচলরত সাধারণ মানুষ এসময় আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। ০২ সেপ্টেম্বর বুধবার বিকালে বন্দরের ২৩ নাম্বার শেডে একটি আমদানি পণ্যের কাটনের পাশে বিকট শব্দে একটা ককটেল বিষ্ফোরিত হয়। তবে ঐ মুহূর্তে ঘটনা স্থলে কেউ না থাকায় বড় ধরনের কোন ক্ষতি না হলেও পণ্যের কাটন দুটি ককটেলের আঘাতে ভেঙে যায়। এর আগেও গত বছরে ১৫ মে বন্দরের ১১ নাম্বার শেডের টয়লেটের মধ্য থেকে তাজা ১০ টি ককটেল পুলিশ উদ্ধার করে। তবে কারা কেন বোমা রাখলো সে বিষয়ে আজ পর্যন্ত কোন রহস্য উৎঘাটন হয়নি। এতে বন্দরে বাণিজ্যের সাথে জড়িত সবাই আতঙ্কিত।
বন্দর শ্রমিকেরা জানায়, দিন রাত বন্দরের মধ্যে হাড়ভাঙ্গা পণ্য খালাসের কাজ করছে। বোমা বিষ্ফোরনের ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে শ্রমিকরা। শ্রমিকদের ক্ষতি করার জন্য শত্রুতা করে কেউ এই ককটেল বন্দরের মধ্যে রাখতে পারে।
ট্রান্সপোর্ট ব্যবসায়ী মশিয়ার হোসেন জানান, বন্দরের কোটি কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে। বার বার বোমা উদ্ধার ও বিষ্ফোরণের ঘটনায় সবাই আতঙ্কিত। জড়িতদের আটক ও রহস্য উৎঘাটন করা দরকার।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ এ্যাসোসিয়েশন সেক্রেটারী সাজেদুর রহমান জানান, বন্দরের মধ্যে ককটলে বিষ্ফোরনের ঘটনায় আমদানি পণ্য নিয়ে নিরাপত্তা হিনতায় ভুগছেন ব্যবসায়ীরা। বার বার বন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের জন্য দাবী জানিয়ে আসলেও বন্দরের উদাসিনতার কারনে তা বাস্তবায়ন হয়নি।
বেনাপোল স্থলবন্দরের আনসার বাহিনীর সহকারী পরিচালক মনিরুজ্জামান জানান, বন্দরের আনসার সদস্যরা ককটেল বিষ্ফোরণ দেখতে পেয়ে বন্দরের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও পুলিশকে খবর দেয়। পরে সবাই ঘটনা স্থলে আসে। অপ্রিতিকর ঘটনা এড়াতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের উপপরিচালক (প্রশাসন) আব্দুল জলিল জানান, ককটেল বিষ্ফোরিত ঘটনা স্থল পরিদর্শন করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে।
উল্লেখ্য, বেনাপোল বন্দরে আনসার বাহিনীর ১৬৩ জন ও বেসামরিক সংস্থ্যা পিমার ১০৮ জন নিরাপত্তা কর্মী রয়েছেন। এসব নিরাপত্তা কর্মীরা বন্দরে আমদানী ও রফতানি পণ্যো দেখভাল করে থাকেন।