আবু সাঈদ আল জিহাদঃ আজ পবিত্র ১০ই মহররম ৬১ হিজরীর। এই দিনে কারবালার তপ্ত মরুপ্রান্তরে নানার দ্বীনকে রক্ষা করতে গিয়ে ইমাম হোসাইন (আঃ) তাঁর সঙ্গী-সাথী পরিবার সহ তৃষ্ণার্ত ও ক্ষুধার্ত অবস্থায় নির্মমভাবে শাহাদাত বরণ করেন।
দিবসটি পালন উপলক্ষে ইমামিয়া জনকল্যাণ ফাউন্ডেশন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগে সারাদিন ব্যাপী এক শোক সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
শোক সভা ও দোয়া মাহফিলে আলোচনায় প্রধান আলোচক হিসেবে অনলাইনের মাধ্যমে বক্তব্য রাখেন ইমামিয়া জনকল্যাণ ফাউন্ডেশন এর প্রধান উপদেষ্টা ও পবিত্র কুরআন ও আহলে বাইত শিক্ষা কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মাওলানাঃ আব্দুল্লাহ (পি.এইচ.ডি গবেষক তাফসীর বিভাগ) আল মোস্তফা (সাঃ) ইউনিভার্সিটি,( ইরান) ।
কীভাবে নবীর (সা.) উম্মতই নবীর (সা.) এর নাতিদের হত্যা করলো (!)? -এ জিজ্ঞাসা সব যুগের প্রতিটি বিবেকবান মানুষের। আর এ ধরনের প্রশ্ন জাগাটাও খুব স্বাভাবিক। কারণ, ইমাম হোসাইনের (আ.) মর্মান্তিক শাহাদাত এক বিষাদময় ঘটনা কিংবা আল্লাহর পথে চরম আত্মত্যাগের এক নজিরবিহীন দৃষ্টান্তই শুধু নয়, এ ঘটনাকে বিশ্লেষণ করলে বড়ই অদ্ভুত মনে হবে। রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর তিরোধানের মাত্র ৫০ বছর অতিক্রান্ত হতে না হতেই এ হত্যাকাণ্ড চালানো হয়। পৃথিবীর ইতিহাসে আল্লাহর পথে এ পর্যন্ত যাঁরা শাহাদাতবরণ করেছেন তাঁদের মধ্যে হযরত ইমাম হোসাইন (আঃ) এর শাহাদাত ছিল অতুলনীয়। ইতিহাসে অনেক দুঃখজনক ঘটনাই স্মরণাতীতকাল থেকে ঘটে আসছে। কালের করালগ্রাসে সেই সকল ঘটনা ধীরে ধীরে বিস্মৃতির অতলে হারিয়ে যায়। কিন্তু কারবালার ঘটনা এতই অনন্য যে যুগে যুগে এর স্মৃতি মানুষের মণিকোঠায় বার বার এসে ভাস্বর হয়ে উঠে। অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে বর্তমানে কারবালার মর্মস্পর্শী ঘটনা মানব হৃদয়কে আরো জোরে নাড়া দিয়ে যায়।
বিশ্বব্যাপী মহামারী নোভেল করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) দেখা দেওয়ায় সামাজিক নিরাপত্তার কারণে শোক সভা ও দোয়া মাহফিল সীমিত আকারে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে আয়োজন করা হয়েছে।