আব্দুর রহমান,সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরায় প্লাবিত এলাকায় গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন বানভাসিরা। আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর, শ্রীউলা ও আশাশুনি সদরে আম্ফানে ভেড়ী বাঁধ ভাঙ্গনের পর ২০আগস্ট নদীর পানি অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পেয়ে ও প্রচুর বৃষ্টিপাতের প্রভাবে রিং বাঁধ ভেঙ্গে ৮০ সহ¯্রাধিক মানুষ পানি বন্দী হয়ে পড়েছে। একাধিক স্থানে আম্ফানের তান্ডবে বেড়ী বাঁধ ভেঙ্গে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে মানুষ ঘরবাড়ি, মৎস্য ঘের, ফসল, সহায় সম্পদ হারিয়ে করুন পরিণতির সাথে যুদ্ধ করে কোন রকমে বেঁচে ছিল। জ্বলোচ্ছ্বাস ঘুর্ণিঝড় আম্পান প্লাবনে মারাত্মক অবনতি হয়েছে। প্রতাপনগ ও শ্রীউলা ইউনিয়নের সকল রাস্তা জোয়ারের অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধির কারনে পানির নিচে তলিয়ে গেছে। মানুষের দুর্ভোগ যেন দিন দিন আরো বাড়ছে। পানি বৃদ্ধির ফলে আশাশুনি উপজেলায় লক্ষধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে চরম দুর্ভোগে রয়েছে। আশাশুনি উপজেলারই ৪২টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে হয়েছে। বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট ও চরম স্বাস্থ্য ঝুকিতে রয়েছে। দুর্গত মানুষ সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে গবাদী পশু নিয়ে। ¯্রােতে গবাদী পশু মরে ভেসে আসা শুরু করেছে। গারু-ছাগল নিয়ে সংকটে রয়েছে অনেকেই। রাস্তা ও উচুঁ স্থানে কোনোমতে গবাদি পশু রেখেছে। এ বিষয়ে প্রতাপনগর ইউনিয়নের গৃহীনি রহিমা খাতুন বলেন আমাদের কিছুই চাই না আমরা সরকারের কাছে আবেদন জানাই দ্রুত বেড়ি বাঁধ দেওয়ার জন্য তা না হলে গ্রাম ছেড়ে চলে যাওয়া ছাড়া পথ নাই। গরু-ছাগল নিয়ে আর কত দিন পানির মধ্য থাকা যায়? গরু-ছাগল মরে ভেসে যাচ্ছে। গবাদী পশুর জন্য কোন মতে থাকার ব্যবস্থা করতে পারলেও খোখাদ্য নিয়ে সংকটে হয়ে পরেছে। মানবেতর জীবনযাত্রার যেন অন্ত খুঁজে পাচ্ছে না বানভাসি মানুষেরা। বিপন্ন দুর্বিষহ জীবন যাত্রার শেষ হবে কবে? আম্পানের পর থেকে সর্ব শ্রেণীর পেশার হাজার হাজার বানভাসী মানুষ রিং বাঁধের মাধ্যমে প্লাবিত অবস্থার অবসান ঘটাতে জীবন বাজি রেখে চেষ্টা চালিয়েও শতভাগ সফলতা পায়নি। পানি বয়ে চলেছে এ অ লের প্রতিটি মানুষের দুয়ারে।