সোহাগ হোসেনঃ যশোরের বেনাপোল কাস্টমস ২০ লাখ টাকা শুল্ক ফাঁকির অভিযোগে ট্রাকসহ শাড়ির চালান জব্দ করেছে কাস্টমস কর্মকর্তারা।
মঙ্গলবার(২৫ আগস্ট)সকালে বন্দরের ১৩ নম্বর শেড থেকে এই চালানটি সুকৌশলে পাচার হওয়ার সময় আটক হয়।
বেনাপোল কাস্টমস সূত্র জানায়, যশোরের ভাবনা এন্টারপ্রাইজ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারত থেকে ৬০২ প্যাকেজ বিভিন্ন পণ্য আমদানি করেন। যার কাস্টমস বি/ই নাম্বার-৩২৯৩৭ তারিখ- ১৩/০৮/২০। পণ্য চালানটি ছাড় করার দায়িত্বে ছিলেন পুটখালি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাস্টার হাদিউজ্জামানের মালিকানাধীন সিএন্ডএফ এজেন্ট রিমু এন্টারপ্রাইজ। পণ্য চালানটি কাস্টমস ও বন্দরের সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষে বন্দর থেকে ডেলিভারি হওয়ার সময় কৌশলে একই শেডের ভেতর লুকিয়ে রাখা অতিরিক্ত ১০ বেল উন্নতমানের বিয়ের শাড়ি ট্রাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় কাস্টমস কমিশনার আজিজুর রহমানের নির্দেশে পণ্য চালানটি জব্দ করা হয়। জব্দকৃত ট্রাকটির নম্বর ঢাকা মেট্রো ট-১৩-০৪৫৪। জব্দকৃত অতিরিক্ত ১০ বেল শাড়ির কোনো কাগজপত্র ট্রাকের সাথে ছিল না। অভিযোগ রয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে প্রভাব খাটিয়ে বন্দর থেকে কাগজপত্র বাদেই অবৈধ্য ভাবে মালামাল পাচার করে আসছিল রিমু এন্টারপ্রাইজ। সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে কোটি কোটি টাকার অবৈধ অর্থের মালিক হয়েছেন মাস্টার হাদিউজ্জামান। ইতঃপূর্বে বিভিন্ন সময়ে তার মালিকানাধীন সিএন্ডএফ এজেন্ট রিমু এন্টারপ্রাইজের বৈধ পণ্যের সাথে অবৈধ পণ্য জব্দ হওয়ার একাধিক রেকর্ড কাস্টমসে আছে। ২০ লাখ টাকার রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগে সিএন্ডএফ এজেন্ট লাইসেন্স বাতিল করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে রিমু এন্টারপ্রাইজের ভারত থেকে আমদানি করা একটি মাছের চালানে ১১ লাখ টাকার রাজস্ব ফাঁকি ধরা পড়ে।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের কমিশনার আজিজুর রহমান জানান, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগে সিএন্ডএফ এজেন্ট রিমু এন্টারপ্রাইজের একটি শাড়ির চালান জব্দ করা হয়েছে। কোনো কাগজপত্র ছিল না। লাইসেন্স টি বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু চলছে।