স্টাফ রিপোর্টারঃ অভয়নগরের মাগুরা গ্রামে চাতালে ম্যাজিস্ট্রেট সেজে চাঁদাবাজি করতে যেয়ে ধরা খেলেন পাঁচ জন।গত সোমবার এই দল অভয়নগরের প্রেমবাগে দুটি হোটেলে ঢুকে দুই হাজার টাকা হাতিয়ে নেন।এরপর তারা অভয়নগরের মাগুরা গ্রামের একটি চাতালে চাঁদাবাজী করতে আসে। চাতালের মালিক আব্দুল মজিদ বিশ্বাস বলেন, ওই এলাকায় আমার চাতাল রয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে আটককৃতরা একটি প্রাইভেটকারে (ঢাকা মেট্রো গ-২৩-৪৩২৯) করে চাতালে এসে নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে ১০ হাজার টাকা দাবি করেন। সন্দেহ হওয়ায় বিষয়টি অভয়নগরের ইউএনওকে জানানো হয়। ইউএনও আসার খবর শুনে দ্রুত তারা গাড়িতে উঠে মণিরামপুরের দিকে চলে আসেন। আমরা ঢাকুরিয়ার লোকজনকে ফোন করে গাড়িটি আটকাতে বলি। পরে ঢাকুরিয়া বাজারের লোকজন গাড়িসহ পাঁচ জনকে ধরে ফেলেন।
মঙ্গলবার (২৫ আগষ্ট) বিকেলে ঢাকুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ থেকে তাদের হেফাজতে নেয় থানা পুলিশ।
আটককৃত টিমের সদস্যরা হলেন, ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার আলুকদিয়া গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে জহিরুল ইসলাম (৪০), খুলনার খালিশপুরের গোয়ালখালি এলাকার এসএম বাবর আলীর ছেলে মোস্তফা ফয়সাল (৩৫), ওই এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে ইতি খাতুন (২২), খুলনার দৌলতপুরের দক্ষিণপাবলা গ্রামের নূরমোহম্মদের ছেলে শাহাদাৎ হোসেন (৩৫) এবং প্রাইভেটকার চালক ফরিদপুর জেলার শালতা উপজেলার বাউশখালী গ্রামের কমল শেখের ছেলে মনির শেখ (২৬)।
আসামী জহিরুল নিজেকে ‘দৈনিক ফলাফল’ নামে একটি পত্রিকার সহকারী সম্পাদক হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন।
এ বিষয়ে ঢাকুরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান এরশাদ আলী সরদার বলেন, দুপুর ১টার দিকে আমি পরিষদে ছিলাম। তখন বাজারের লোকজন প্রাইভেট কারটির গতিরোধ করে তাদের পাঁচ জনকে আমার কাছে নিয়ে আসে। আমি বিষয়টি থানায় জানিয়েছি। পরে থানা থেকে পুলিশ আসে।
বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে ঘটনাস্থল থেকে থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই দেবাশীষ বলেন, ওই পাঁচজন ঢাকুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদে আছেন। তাদের ব্যাপারে এখনো কোন সিদ্ধান্ত হয়নি।