বেনাপোল প্রতিনিধিঃ যশোরের বেনাপোল স্থল বন্দরে ভারতে রপ্তানী মুখী পণ্যবাহী ট্রাক নিয়ন্ত্রন এর দায়িত্ব অভৈধভাবে একটি সংগঠন দীর্ঘদিন পালন করে আসছে। সম্প্রতি বৈধ কামিটি হাইকোর্টের রায়ে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে গেলে ওই রায় অমান্য করে বৈধ কমিটির কাজের বাধাগ্রস্থ করার অভিযোগ উঠেছে। যশোর জেলা ট্রাক ও ট্যাংক লরী ট্রাক্টর ও কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন এর বেনাপোল শাখার সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক এরকম অভিযোগ করে বলে হারানো সাম্রাজ্য ফিরে পাবার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে ওই চক্রটি।
সংগঠনের সভাপতি মোস্তফা কামাল বলেন বিগত ১১ বছর যাবৎ যশোর জেলা ট্রাক ও ট্যাংক লরী ট্রাক্টর শ্রমিক ইউনিয়নের বিগত নির্বাচিত সভাপতি মিজান ও সাধারন সম্পাদক শওকত এর আমল থেকে বৈধ ৯ বছরের হিসাব এর কথা বার বার বললে ও তারা কোন হিসাব দেয়নি বেনাপোল শাখায়। ২০১৫ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ৩৮ মাস ১০ দিনে বেনাপোল শাখা হিসাব এর আয় দেখিয়েছে ২লাখ ২৩ হাজার ২০০ শত টাকা; এবং ব্যায় দেখিয়ে জমা রয়েছে ১ লাখ ৯ হাজার ২শত টাকা। বাকি দিন গুলোর কোন হিসাব আমি পায়নি। এছাড়া বেনাপোলে শ্রমিক ইউনিয়ন এর অফিস এর নির্মানে অগ্রিম ঘরভাড়া বাবাদ ৮ লাখ ৬৬ হাজার ২শত টাকা দেখিয়ে আবার বিল্ডিং নির্মানেরও ওই একই টাকা খরছ দেখিয়েছে।
বেনাপোল শাখার সভাপতি শহিদুল ইসলাম বলেন, আমারা যশোর জেলা ট্রাক ও ট্যাংক লরী ট্রাক্টর ও কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন এর বৈধ কমিটি। আমরা হাইকোর্ট থেকে রায় ও পেয়েছি। বিগত ২০১৯ সালে এই ইউনিয়নের নির্বাচন হয় তিনিটি পরিষদের। এর মধ্যে একটি ছিল মোস্তফা- জাহাঙীর পরিষদ, লিয়াকত- শহিদুল পরিষদ ও শাহিন- তরিকুল পরিষদ। এর মধ্যে নির্বাচন প্রশ্ন বিদ্ধ হওয়ার অভিযোগ তুলে শাহিন- তরিকুল পরিষদ ভোট বর্জন করে। এরপর এরা বেনাপোল ফিরে ওই ভোট বর্জন এর সংবাদ সম্মেলন করে। সেই থেকে তারা বেনাপোল বড়আঁচড়া মোড়ে প্রস্তাবিত যশোর আন্তজেলা ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান ট্র্যাংক লরী শ্রমিক ইউনিযন এর নাম দিয়ে একটি সাইনবোর্ড লাগিয়ে চাঁদা উত্তোলন করতো।
বেনাপোল শাখার সাধারন সম্পাদক আলমগীর হোসেন বলেন, অবৈধ এই কমিটির নেতারা প্রায় দেড় বছর যাবৎ অবৈধ ভাবে রপ্তানি মুখী পণ্যবাহি ট্রাক থেকে চাঁদা আদায় করে। এমনকি এরা রফতানি গাড়ির সিরিয়াল আগে করে দেওয়ার জন্য ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়েছে বলেও এলাকায় গুঞ্জন রয়েছে। এছাড়া তারা ট্রাক প্রতি ১০০ টাকা করে আদায়ও করত। এই চক্রটি ঝিকরগাছার ট্রাক মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক মুছা মাহমুদ এর নেতৃত্বে প্রস্তাবিত যশোর আন্তজেলা ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান ট্যাংক লরী শ্রমিক ইউনিয়ন এর নাম দিয়ে প্রভাব খাটিয়ে অবৈধ ভাবে চাঁদাবাজি করে । বর্তমানে হাইকোর্টের রায়ে বৈধ কমিটি দায়িত্ব নিলে এরা মরিয়া হয়ে উঠে। এরা বিভিন্ন জায়গায় দরখাস্ত এবং পুলিশ দিয়েও হয়রানি করার হুমকি প্রদান করে।
সরেজামিনে বেনাপোল রপ্তানি গেটে যেয়ে ট্রাক চালক সুমন, ( ঢাকা মেট্রো-ড -১২-১৭০০) শরিফুৃল (যশোর ট-১১- ৩৭১৬) ও গোলাম মোস্তফার ( ঢাকা মেট্রো -ট- ১৪ -৪৫২১ ) কাছে কোন চাঁদা দাবি করছে বা কেউ নিচ্ছে কিনা জানতে চাইলে তারা বলে না। আমাদের নিকট কেউ কোন টাকা নিচ্ছে না।কাউকে আগে কোন সিরিয়াল ও করছে না। আমরা নিয়ম মত রপ্তানি পন্য নিয়ে ভারতে প্রবেশ করছি।
এ ব্যাপারে যশোর নাভারণ সার্কেল এ এসপি জুয়েল ইমরান বলেন, আমরা ঝিকরগাছা ট্রাক মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক মুছা মাহমুদ স্বাক্ষরীত একটি আবেদন এর পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে চাঁদা তোলা অবস্থায় কাউকে পাই নাই। যদি এরকম কোন ঘটনা ঘটে তাহলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।
এ ব্যাপারে শার্শা নির্বাহী অফিসার পুলক কুমার মন্ডল ও বেনাপোল পোর্ট থানা ওসি মামুন খানকে ফোন দিলেও তারা ফোন রিসিভ করেন নাই।