কণ্ঠ ডেস্কঃ চা-শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১০২ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০০ টাকা নির্ধারণ করে নতুন চুক্তি সম্পাদন করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশন। আজ বিকেলে সিলেট নগরীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়।
চা শ্রমিক ফেডারেশনের রত্না বসাকের সভাপতিত্বে ও সন্দীপ রঞ্জন নায়েকের সঞ্চালনায় মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) সিলেট জেলা সমন্বয়ক ও চা শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা আবু জাফর, চা শ্রমিক ফেডারেশনের দিপা দাশ, নিপা মোধি, লক্ষ্মীন্দর, ছাত্র ফ্রন্ট মহানগরের আহ্বায়ক সনজয় শর্মা।
বিজ্ঞাপন
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, চা-শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১০২ টাকা নির্ধারণ করার মেয়াদ প্রায় ২০ মাস আগেই অতিক্রান্ত হয়েছে। নতুন চুক্তি অনুযায়ী দৈনিক মজুরি ন্যূনতম ৫০০ টাকা নির্ধারণ করার কথা। কিন্তু চা-বাগানের মালিকেরা নানা অজুহাতে নতুন মজুরি চুক্তি সম্পাদন না করে ১০২ টাকা মজুরিতে কাজ করতে বাধ্য করছেন শ্রমিকদের। মালিকপক্ষের শ্রমিক স্বার্থবিরোধী পদক্ষেপের কারণে ধলই চা–বাগান বন্ধ হয়ে পড়েছে। একইভাবে মালিকপক্ষের সহযোগিতায় তারাপুর চা-বাগানে ভূমি দখল প্রক্রিয়া চলছে।
বক্তারা শিগগিরই নতুন চুক্তি সম্পাদন করে ৫০০ টাকা মজুরি নির্ধারণ ও চা-বাগানে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠার দাবি জানান। অন্যথায় চা-শ্রমিকদের নিয়ে আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে বলে জানান তাঁরা।
বিজ্ঞাপন
পঞ্চায়েত কমিটির সভায়ও মজুরি বৃদ্ধির দাবি
করোনা পরিস্থিতিতে সিলেট ভ্যালির ২৩টি চা-বাগানের পঞ্চায়েতদের নিয়ে আজ একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভা থেকে চা-শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানোর দাবি জানানো হয়।
সিলেট ভ্যালি কার্যকরী পরিষদ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন পরিষদের সভাপতি রাজু গোয়ালা। সভায় পরিষদের সম্পাদক দেবু কুমার দাস, পঞ্চায়েত সভাপতি জিতেন সবর, সুনীল মুদি, শিতু লোহার, নগেন্দ্র গোয়ালা, সবুজ তাঁতী, বিলাস ব্যানার্জি, নিরঞ্জন মৃধা প্রমুখ বক্তব্য দেন।
বিজ্ঞাপন
সভায় করোনা পরিস্থিতিতে চা-বাগান বন্ধ থাকায় শ্রমিকদের মজুরি প্রদান, চা-শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানো, তারাপুর চা-বাগানের জমি দখল ঠেকানো ও পঞ্চায়েত সভাপতির ১০ শতাংশ ভাতা কার্যকরের দাবি জানানো হয়।