স্টাফ রিপোর্টার : যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে আঘাতজনিত কারণেই তিন কিশোরের মৃত্যু হয়েছে বলে ময়না তদন্তের রিপোর্টে বলা হয়েছে। যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. দিলিপ কুমার রায় বলেছেন, তিন কিশোরের মরদেহের পায়ে, পিঠে ও মাথায় আঘাতের চিহ্ন আছে। মূলত মস্তিস্কে আঘাতজনিত কারণেই তাদের মৃত্যু হয়েছে।
তত্ত্বাবধায়ক বলেন, ময়নাতদন্ত রিপোর্ট যশোরের সিভিল সার্জনের কাছে পাঠানো হয়েছে। যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন বলেন, হাসপাতাল থেকে ময়না তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর তা যশোরের পুলিশ সুপারের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
গত বৃহস্পতিবার যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে নির্মাম পিটুনীতে সেখানে বন্দি থাকা তিন কিশোর পারভেজ হাসান রাব্বি (১৮), রাসেল সুজন (১৮) ও নাইম হোসেন (১৭) নিহত হয়। আহত হয় আরও ১৫ কিশোর। কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ প্রথমে বিষয়টি কিশোরদের দুই গ্রুপের মারামারি বলে বলে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু পরে আহতদের বক্তব্য ও পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে আসতে থাকে যে, কেন্দ্রের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের নির্মম পিটুনীতেই ওই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
এ ব্যাপারে নিহত রাব্বির পিতা রোকা মিয়া বাদি হয়ে যশোর কোতয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশে এ ঘটনায় ওই কেন্দ্রের ৫ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। ওই ৫ কর্মকর্তাকেই সমাজসেবা অধিদপ্তর সাময়িক বরখাস্ত করেছে।
এদিকে, যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক আব্দুল্লাহ আল মাসুদ গ্রেফতার ও সাময়িক বরখাস্ত হওয়ায় ওই পদে সমাজসেবা অধিদপ্তরের আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খুলনার সহকারি পরিচালক জাকির হোসেনকে নিযুক্ত করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই তিনি সেখানে যোগদান করেছেন বলে যশোর সমাজ সেবা কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে।