সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:রিমান্ডের চতুর্থ দিনে অস্ত্র আইনের মামলায় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ করিমকে খুলনা র্যাব কার্যালয় থেকে আজ বৃহস্পতিবার বিকালে সাতক্ষীরায় আনা হয়। এরপর তাকে নিয়ে যাওয়া হয় যেখান থেকে সে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল সেই দেবহাটা উপজেলার শাখরা কোমরপুর লাবন্যবতী নদীর ব্রীজের উপর। বিকাল ৪টা ১১ মিনিটে সেখানে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়। উৎসুক জনতা ভিড় জমালে তাদেরকে সেখান থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। সেখানে তাকে নিয়ে ৫-৭ মিনিট থাকার আবারও তাকে র্যাবের গাড়ীতে উঠানো হয়। এ সময় সাহেদের মুখমন্ডল হেলমেটে ঢাকা ছিল, গায়ে ছিল গেঞ্জি ও র্যাবের নিরাপত্তা জ্যাকেট। ব্রীজের ওপর থেকেই আবারও তাকে গাড়িতে উঠিয়ে ফের খুলনার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয় র্যাব। তদন্তের স্বার্থে র্যাবের পক্ষ থেকে কিছু না জানানো হলেও দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, সাহেদ করিম মাঝে মাঝে খুব ক্ষ্যাপাটে আচরণ করছেন। আবার কখনো কখনো ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র্যাব-৬ সাতক্ষীরা ক্যাম্পের এস.আই রেজাউল ইসলাম জানান,গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তবে অধিকতর তদন্তের স্বার্থে তা এখন প্রকাশ করা সমীচীন হবেনা।
র্যাব-৬ এর অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল রওশনুল ফিরোজ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন, এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-৬ এর এস.আই রেজাউল ইসলামসহ সাহেদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত র্যাব সদস্যরা।
উল্লেখ্য:এর আগে গত ১৫ জুলাই বুধবার ভোর ৫টা ১০ মিনিটে করোনা টেষ্ট প্রতারনা ও জালিয়াতি মামলাার আসামী রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান প্রতারক সাহেদ করিমকে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার কোমরপুর গ্রামের লাবণ্যবতী নদীর ব্রিজের নিচ থেকে বোরকা পরিহিত অবস্থায় একটি অবৈধ অস্ত্রসহ গ্রেফতার করে র্যাব। পরে তার বিরুদ্ধে দেবহাটা থানায় অস্ত্র আইনে মামলা হয়। এ মামলায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত রোববার আদালতের কাছে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন জানান র্যাব-৬ এর এস.আই রেজাউল ইসলাম। সাতক্ষীরার আমলী আদালত- ৩ এর বিচারক (ভার্চুয়াল) রাজীব কুমার রায় এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এরপর গত সোমবারই তাকে ঢাকা থেকে খুলনা র্যাব কার্যালয়ে নিয়ে আনা হয়।