1. jitsolution24@gmail.com : admin :
  2. shantokh@gmail.com : Sharif Azibur Rahman : Sharif Azibur Rahman

বেনাপোলে বড় ছেলেকে গুলি করার অভিযোগ শ্বাশুড়ের বিরুদ্ধে

  • প্রকাশের সময় বৃহস্পতিবার, ৩০ জুলাই, ২০২০
  • ১২৭ বার সংবাদটি পাঠিত

বেনাপোল প্রতিনিধিঃ যশোরের বেনাপোলে বড় ভাইকে গুলি করে হত্যা করার হুকুমদাতা ওই দুই ভাইয়ের আপন মা রেখা খাতুন। এমনটি অভিযোগ করেছেন নিহত রাছেল এর স্ত্রী রাজিয়া বেগম সহ আরো অনেকে।

নিহত রাছেল এর বাড়িতে গতকাল সন্ধার পর উপস্থিত হলে রাছেলের মা রেখাকে দেখিয়ে তার স্ত্রী রাজিয়া খাতুন বলে আমার সামনে উনি উনার ছোট ছেলে আমজাদকে হুকুম দেয় গুলি করার জন্য। আর সাথে সাথে আমজাদ রাছেলকে গলায় গুলি করে দিলে সে মা বলে চিৎকার দিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। রাজিয়া খাতুন আরো বলে ২৮ তারিখ সন্ধ্যার সময় বেনাপোল পোর্ট থানা থেকে একজন দারোগা এসে আমজাদকে খুজে না পেয়ে চলে যায়। রাত্রে রাছেল তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বেনাপোল বাজার থেকে ফিরে আমজাদকে বলে তোর জন্য আমার ২০ হাজার টাকা গেল। তুই এ টাকা দিয়ে দিবি। এই নিয়ে দুই ভাই বাকবিতন্ডা হয়। এরপর সকালে আবার টাকা সংক্রান্ত বিষয় দুই ভাই তর্ক বিতর্ক হয়। তখন আমজাদ দৌড়ে ছাগলের ঘর থেকে একটি বড় ছুরি ও পিস্তল নিয়ে আসে। এরপর দুই ভাই ধস্তা ধস্তির এক পর্যায় তাদের মা রেখা খাতুন বাড়ির মেন গেট লাগিয়ে দিয়ে বলে গুলি করে দে। আর সাথে সাথে আমজাদ রাছেলকে গুলি করে দেয়।

নিহত রাছেল এর কাকা মিন্টু বলে আমাজাদকে খুজতে বেনাপোল পোর্ট থানা থেকে দারোগা এসেছিল মঙ্গলাবার (২৮ জুলাই) সন্ধ্যায়। এরপর দারোগা চলে যাওয়ার পর দুই ভাই রাত থেকে গন্ডগোল এর জের ধরে সকাল সাড়ে ৯ টার সময় আমজাদ রাছেলকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে। তবে তাদের মা মাদকসেবী সন্ত্রাসী পুত্র আমজাদকে সব সময় সহায়তা করত। তার মায়ের আসকারা পেয়ে আমজাদ বিপথগামী হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। এলাকায় চুরি ছিনতাই এর অভিযোগে তাকে পুলিশ খুজতে আসলেও তার মা তাকে ঘরের মধ্যে লুকিয়ে রেখে বলত সে বাড়িতে নেই। কোন দারোগা খুজতে এসেছিল তিনি বলেন টি শার্ট গায়ে মাজায় পিস্তল ছিল, তার নাম জানি না।

স্থানীয়রা ও একই ধরনের অভিযোগ করেন রাছেল এর মায়ের বিরুদ্ধে। তারা আরো অভিযোগ তুলে বলে কেন রাছেলদের বাড়িতে দারোগা এসেছিল। আর তারপর দুই ভাই গন্ডগোল করে, বিষয়টি জানার প্রয়োজন?
রাছেলের মা রেখা খাতুন বলেন কোন দারোগা এসেছিল তা আমি বলতে পারব না। আমি বাড়ি ছিলাম না। আপনি হুকুম দিয়েছেন গুলি করতে জানতে চাইলে তিনি স্বাভাবিক ভাবে বলে না । ছেলের মৃত্যুর শোকে চারিপাশে শোকের মাতম চললে ও রেখা খাতুনকে স্বাভাবিক দেখা যায়। কান্নাকাটি সহ কোন ধরনের শোক তাকে দেখে পরিলক্ষিত হয়নি।

বেনাপোল পোর্ট থানা থেকে ২৮ তারিখে কেন পুলিশ গিয়েছিল বা কোন দারোগা গিয়েছিল এ বিষয় পোর্ট থানার এস আই রফিক এসআই আলমগীর হোসেন, এএসআই রোকনুজ্জামান এর কাছে জানতে চাইলে তারা অস্বীকার করেন। তারা বলেন আমরা জানিনা কোন দারোগা গিয়েছিল।
উল্লেখ্য গত ২৯ জুলাই বেনাপোল পোর্ট থানা কাগজপুকুর গ্রামে আপন ছোট ভায়ের পিস্তলের গুলিতে বড় ভাই নিহত হয়।

সংবাদটি সেয়ার করে পাশে থাকুন

একই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved  2024
Design by JIT SOLUTION