1. jitsolution24@gmail.com : admin :
  2. shantokh@gmail.com : Sharif Azibur Rahman : Sharif Azibur Rahman

ট্রেন কাউন্টারে টিকিট বিক্রি বন্ধ: ‘বেনাপোল এক্সপ্রেস’ ট্রেনের টিটি অ্যাটেনডেন্সের আয় বেড়েছে

  • প্রকাশের সময় মঙ্গলবার, ২৮ জুলাই, ২০২০
  • ১২৪ বার সংবাদটি পাঠিত

বেনাপোল প্রতিনিধি :সারা বিশ্বে করোনা ভাইরাস মানুষের স্বাভাবিক গতিকে থমকে দিয়েছে। কেড়ে নিয়েছে মানুষের স্বাভাবিক জীবন-যাপন। মহামারি এ ভাইরাস বিশ্ব ব্যাপী প্রায় সাড়ে ৬ লাখ লোকের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে প্রায় দেড় কোটির অধিক মানুষ। বাংলাদেশেও এ মহামারি ভাইরাস প্রায় তিন হাজার লোকের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ২ লাখ ২১ হাজারের অধিক মানুষ। বাংলাদেশ সরকার এ মহামারি ভাইরাসের সংক্রমন রোধে গত ২৬শে মার্চ থেকে দেশ ব্যাপী লোকডাউনের ঘোষণা দেয়। এর পর থেকে সারাদেশে সব ধরনের যানবহন চলাচলা বন্ধ করে দেন। তবে দেশের মানুষে ভোগান্তি ও দেশের অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখতে গত ১ পহেলা জুলাই থেকে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে স্বল্প পরিসরে যানবহন চালু করেন। ভারতে আটক পড়া বাংলাদেশী যাত্রী ও বেনাপোল বন্দরের সাথে যোগাযোগ স্বাভাবিক রাখতে ‘বেনাপোল এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি চালু করে সরকার। তবে রেল স্টেশনের টিকিট কাউন্টার থেকে টিকিট বিক্রি বন্ধ হওয়ায় সাধারণ যাত্রীরা পড়েন সীমাহীন দুর্ভোগে। এসব যাত্রীরা স্টেশনে গিয়ে টিকিট না পেয়ে এক পর্যায়ে টিকিট ছাড়া ট্রেনে উঠে বসেন। আর এ সুযোগ কাজে লাগাছে ট্রেনে ভিতরে থাকা ট্রেনের টিটি,এটেন্টডেন্ট,জিআরপি পুলিশসহ সব স্টাফরা। ট্রেনের এসব টিটিরা ট্রেনের ভিতরে যাত্রীদের কাছে থেকে জরিমানার টাকাসহ আদায় করলেও যাত্রীদের কোন টিকিট বা সীলিপ দিচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে অহরহ যাত্রীদের সাথে ট্রেনের টিটিদের সাথে হচ্ছে গোলযোগ। এক পর্যায়ে টিটিও তার সহকারীরা বলছে ট্রেন থেকে নামার সময় ধরলে আপনি আমাদেরকে দেখিয়ে দিবেন।

গোপন একাধিক সূত্র জানায়, টিকিট ছাড়া ট্রেনে ওঠা যাত্রীদের কাছ থেকে ট্রেনের টিটি জরিমানাসহ টাকা আদায় করে থাকেন। কিন্তু টিটি যাত্রীদের কাছে কোন টিকিট দেন না। যাত্রীরা টিকিট চাইলে ৫শ’ টাকার ভাড়া ১৫শ’ টাকা দাবি করেন টিটি। এক পর্যায়ে টিটিও যাত্রীদের মধ্যে সমঝতা করে ৬শ’ থেকে ৭শ’ টাকা নির্ধারিত হয়। সমঝোতা না হলে টিটি যাত্রীদের বলেন আপনি সামনের স্টেশনে নেমে টিকিট কেটে ট্রেনে উঠুন। কিন্তু লকডাউনের পর থেকে দেশের সব স্টেশন কাউন্টার থেকে টিকিট দেওয়া বন্ধ রয়েছে। শুধু অনলাইনে টিকিট সরবরাহ সচল রয়েছে। কিন্তু দেশের সিংহভাগই মানুষ জানে না কিভাবে অনলাইনে টিকিট কাটতে হয়। তাছাড়া অনলাইনে টিকিট কাঁটতে হলে যাত্রাদের কয়েক দিন আগেই টিকিট কেটে রাখতে হয়। যা একটা সাধারণ যাত্রীর কাছে প্রায় অসম্ভাব। যে কারণে অতিরিক্ত টাকা দেওয়ার পরও টিটিদের দ্বারা হয়রানীর স্বীকার হচ্ছে ভুক্তভোগী যাত্রীরা।

সুত্রটি আরো জানায়, গন্তব্যে পৌছানের পর ট্রেনের টিটি,গার্ড,এটেন্টডেন্ট,গন্তব্যের স্টেশন মাষ্টারও অন্যন্যা স্টাফদের মধ্যে ভাগবাটোয়ারা হয়। সরকারী এ কর্মকর্তাও কর্মচারীদের এ অবৈধ্য লেনদেনের কারণে এক দিকে সরকার এসব যাত্রীর ভাড়া বাবদ মোটা অংকের অর্থ হারাছে। আর অন্যদিকে অবৈধ্য এ অর্থ খেয়ে মোটা তাজা হচ্ছে ট্রেনের টিটি,এটেন্টডেন্ট,জিআরপি পুলিশ সদস্যরা।
টিকিট ছাড়া ট্রেনে ওঠা একাধিক যাত্রী জানান, আমরা ৫০ থেকে ১০০ কিলোমিটার যাব। তার জন্য আবার কি বা টিকিট করবো। তাছাড়া ট্রেনের টিকিট এখন অনলাইনে ছাড়া পাওয়া যায় না। তাও আবার দু থেকে ’তিন দিন আগে গিয়ে টিটিক কাটা লাগে। তার পরে অনলাইনে গিয়েও টিকিট পাওয়া যায় না। তাই ট্রেনে ওঠে টিটি সাহেবকে টাকা দিলেই সব ঝামেলা শেষ। গন্তব্য স্থানে নামলে কেউ টিকিট চেক করে কি না তা জানতে চাইলে এসব যাত্রীরা বলেন। এসব টাকার ভাগ ওই সব টিকিট চেকরাও খায়। তাই তারা টিকিটি চেক করে না। যদিও করে তাদেরকে টিটিকে বা ট্রেনে থাকা এটেনডেন্সদের দেখিয়ে দিলে আর কোন ঝামেলা করে না।সরেজমিনে দেখা যায় টিকিট ছাড়া অনেক যাত্রী ট্রেন থেকে নেমে যেতে।

বিষয়টি নিয়ে বেনাপোল স্টেশন মাষ্টার সাইদুর রহমানে কাছে জানতে চাইলে তিনি সংবাদকর্মীদের জানান, আমার দায়িত্ব রেল স্টেশনে। ট্রেনের ভিতরে কে টাকা নেয় সেটা আমি বলতে পারবো না। আপনাদের বেশি কিছু জানার দরকার হলে ট্রেনের টিটি বা গার্ডদের সাথে যোগাযোগ করেন। তারা বিষয়টি ভাল বলতে পারবে।
ট্রেনের ভিতরে থাকা অ্যাটেনডেন্স বদরুজ্জামান এর কাছে ট্রেনের ভিতরে টিকিট ছাড়া যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে টিকিট না দেওয়ার বিষয়টি জানতে চাইলে তারা বলেন ট্রেনটি ঢাকা থেকে বেনাপোলের উদ্দেশ্যে যাওয়ার পথে চুয়াডাঙ্গা,কোটচাঁদপুরও যশোর স্টেশন থেকে কিছু কিছু লোকজন ট্রেনে ওঠে বেনাপোলও যশোর যাওয়ার জন্য। তাদেরকে ট্রেনের ভিতর থেকে টাকা নিয়ে টিকিট দেওয়া হয় বলে তিনি জানান।

সংবাদটি সেয়ার করে পাশে থাকুন

একই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved  2024
Design by JIT SOLUTION