বেনাপোল প্রতিনিধিঃ যশোরের শার্শা উপজেলার আমলা বাজারে ডাঃ শাহিন এর ভুল চিকিৎসায় হবিবার রহমান(৪৫)নামে এখন শয্যাসায়ী অবস্থায় আছে।
শার্শাথানাধী রুদ্রপুুর গ্রামের জিমতুল্লাহ এর ছেলে।
ডা,শাহিন এল এম এ জেনারেল ফিজিসিয়ান। হাড় ভাঙা বাত ব্যাথা রোগে বিশেষ প্রশিক্ষন প্রাপ্ত। আর্থোপেডিক্স এন্ড এক্স-রে সেন্টার নামে শার্শার আমলাই বাজারে তার নিজস্ব চেম্বার।
গত মঙ্গলবার রুদ্রপুর গ্রামের হাবিবুর রহমানের পায়ের পাতা ঘুরে গেলে নিয়ে যাওয়া হয় ডাক্তার শাহিনের নেওয়ার পর এক্স-রে করতে বলে। দুই হাজার টাকা চুক্তি হয়। এর পর যদি পা না ভাঙে তবে সেট করে দেয়া হবে। এক্সরে রিপোর্টে পা ভাঙানি বলে জানানো হয়। পরে রোগীর ভাঙা পা ৪ জন ধরে টেনে টেনে কিছু ওষুধ দিয়ে বলে বাড়ি চলে যান সব ঠিক হয়ে যাবে।
বাড়িতে নেওয়ার পর জ্বালা যন্ত্রনা না কমায় শুক্রবারে নেয়া হয় ডা,গোলাম ফারুকের ক্লিনিকে। সেখানে পুনরায় এক্সরে করা হয় ।সেই রিপোর্টে বলা হয় পা সেট হয়নি। ভাঙা হাড়ের টুকরো ভিতরে আছে অপারেশন করতে হবে ।অপারেশন করতে খরচ হবে ৭০ হাজার টাকা।
হাবিবুর রহমান জানান,আমার ভ্যান চালিয়ে সংসার চলে চিকিৎসার জন্য এত টাকা কোথায় পাবো। ডাক্তার শাহীন টানাটানি করে আমার পা ভেঙে দিয়েছে। দু’হাজার টাকার লোভে ক্ষতি করে দিলো আমার সংসারটা।
এ বিষয়ে গোগা ইউনিয়নের আমলায় ইউপি সদস্য বুলু আহম্মেদ বলেন আমলায় বাজারে ডাক্তার শাহীন আছে কিন্তু এধরনের ঘটনা ঘটলে খুবই দুঃখ জনক।
এ ব্যাপারে ডাক্তার এম এ শাহীন বলেন হাবিবুর রহমানের পা এক্স-রে করার পর বুঝা যাচ্ছিল কোন সমস্যা নেই তাই ওষুধ দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে ছিলাম। পরে শুনি অবস্থা খারাপ তখন তাকে যশোর নেওয়ার জন্য বলা হয়।