আক্তার মাহমুদ, ঝিকরগাছা প্রতিনিধিঃবিশ্বে যখন করোনা ভাইরাসে ছেয়ে গেছে।তেমনি আজ বাংলাদেশের জনগণ এই মহামারি ভাইরাসে আক্রন্ত হচ্ছে।তখনি এই ভাইরাসের কারনে সকল সরকারি -বেসরকারি প্রতিষ্ঠাননের সাধারন ছুটি ঘোষনা করা হয়।কিন্তু দেশের জনসাধারণেরর কথা করোনা মহামারি মোকাবেলা করা ও জনসাধারণেরর সকল সেবা দিতে সরকারি কমর্কতাগনের ছুটি বাতিল করা হয়। তেমনি যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলা কৃষি অফিসারের কার্যলয়ে চলে বিভিন্ন কৃষি বিষয়ক কর্মসূচী তবে সেটা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে। করোনাভাইরাস চলাকালিন সময়ে দরিদ্র কৃষকের সকল সুবিধা দিয়ে যাচ্ছে ঝিকরগাছা কৃষি অফিস।আজ ঝিকরগাছা কৃষি অফিসে সরেজমিনে প্রতিদিনের কন্ঠের রিপোর্টার সকল বিষয়ের তথ্য নিতে যান।সেখানে উপস্থিত ছিলেন কর্তব্যরত ঝিকরগাছা উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ মাসুদ হোসেন পলাশ। আরও উপস্থিত ছিলেন,ঝিকরগাছা কৃষি সম্পসারণ অফিসার মাহবুব আলমও সদ্য কর্মরত উপসহকারী অফিসার নয়ানন্দন পাল। ঝিকরগাছা উপজেলা কৃষি অফিসার জানান, ঝিকরগাছা উপজেলায় মোট কৃষি জমি ৩০ হাজার ৮শত ৯হেক্টর।এখানে নীটফসলি জমি ২৪ হাজার ৩৭০ হেক্টর, এক ফসলি জমি ৩৫০ হেক্টর, দুই ফসলি জমি ১২ হাজার হেক্টর। আরও জানা যায় যে,গত বোরো মৌসুমে মোট ৭৭ হাজার ৬৮৫ মেট্রিক টন চাউল উৎপাদন করা হয়। এছাড়া এই আমন মৌসুমে ১৮ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে আমন ধান উৎপাদন হবে বলে তিনি জানান। তিনি আরও জানিয়েছেন যে করোনাকালিন ও আমফান ঝড়ে ঝিকরগাছার উপজেলার ৩০০জন ফুলচাষী, ৭০০ জন আউস চাষী ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে ভূ্র্তিকি প্রদান করা হয়। তাছাড়া ৫০% ভূর্তিকি মূল্যে ৫টি কম্বেইন হার্ভেস্টার মেশিন প্রদান করা হয়েছে। ঝিকরগাছা উপজেলা কৃষি অফিসার ও তাঁর দপ্তর কৃষকদের সেবায় সর্বদা কাজ করে যাচ্ছে। এমনকি তিনি নিজেও কৃষকদের সেবা দান কালে করোনায় আক্রন্ত হয়।তবুও থেমে নেই তাদের কৃষক সেবা। প্রত্যেক কর্মকর্তাকে তাদের নিজ কর্মে দেখা যায়। তিনি আরও বলেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর নির্দেশ মোতাবেক কাজ করে যাচ্ছি।