1. jitsolution24@gmail.com : admin :
  2. shantokh@gmail.com : Sharif Azibur Rahman : Sharif Azibur Rahman

মনিরামপুর পশুহাটে পর্যাপ্ত পশু উঠলেও নেই তেমন বেচাকেনা

  • প্রকাশের সময় মঙ্গলবার, ২৮ জুলাই, ২০২০
  • ৮৪ বার সংবাদটি পাঠিত

মনিরামপুর প্রতিনিধিঃ কোরবানী ঈদকে সামনে রেখে যশোরের পশু হাটগুলোতে পর্যাপ্ত পশু থাকলেও তেমন বেচাকেনা নেই। কোভিড-১৯ ভাইরাসের কারণে জেলার বাইরের ব্যবসায়ীরা পশু ক্রয় করতে তেমন আসছে না। আদৌ হাট জমবে কিনা, ক্রেতারা আসবে কিনা- এ ধরণের নানান চিন্তা পেয়ে বসেছে তাদের। এছাড়া করোনা পরিস্থিতিতে তারা লাভবান হতে পারবেন কিনা- সে চিন্তাও মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। সব মিলিয়ে দুশ্চিন্তা পিছু ছাড়ছে না খামারি ও পশু ব্যবসায়ীদের।
মঙ্গলবার দুপুরে যশোরের অন্যতম বৃহৎ পশুহাট মনিরামপুরে প্রচুর পরিমানে পশু উঠতে দেখা যায়। পশুর সাথে হাটে মানুষের সংখ্যাও কম নয়। কিন্তু ক্রয় বিক্রয় তেমন লক্ষ করা যায়নি। হাট ইজারাদারের পক্ষ থেকে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি পালনের প্রচেষ্টা থাকলেও ক্রেতা বিক্রেতা ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধির কোন বালাই নেই।

খামারিরা বলছেন, সারাবছর গরু লালন-পালন করি কোরবানী উপলক্ষে গরু বিক্রির করার জন্য। এবার করোনা আসার পরে গোখাদ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার পরেও বাধ্য হয়ে খাবার খাইয়েছি। কিন্তু হাটে গরু নিয়ে এসে ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের তেমন পাওয়া যাচ্ছেনা। যারা গরু কিনতে আসছে তারা গরুর প্রকৃত দামের অর্ধেক বলে। কোরবানী ঈদের মাত্র কয়েকদিন বাকি। এখন ভাল দামে না বিক্রি করতে পারলে আর কি করব। এবার লোকশানের আর শেষ নেই আমাদের।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, কোরবানি উপলক্ষে এবছর যে গরু কিনেছি তাতে আমাদের লস হবে। প্রত্যেকটি গরু দাম ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা কম বলছে বাজারে। বাজারে ক্রয়-বিক্রয় একদম কম। তার উপর খাজনা গেল বারের থেকে তুলনামূলক বেশি। এই অবস্থা থাকলে আমাদের লসে পরতে হবে।

খামারি আলমগীর বলেন, তার কোরবানিযোগ্য ১০টি গরু রয়েছে। কিন্তু করোনার পরিস্থিতির কারণে এবার গরু কেনায় আগ্রহী কোনো ব্যাপারির দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। এতে করে পশুর হাটে ক্রেতার অভাবে দাম পড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তিনি।
এদিকে খামারের সাথে সংশ্লিষ্ট অনেকেই বলেছেন, করোনার কারণে সঙ্কটে রয়েছেন মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষেরা। যারা সাধারণতঃ একাধিক ভাগে কোরবানি দিয়ে থাকেন। ফলে তাদের অনেকেই চলতি বছর কোরবানি দিতে পারবেন কিনা- তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। এতে করে কোরবানির পশু বিক্রি কমে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
মনিরামপুর পশুহাট ইজারাদার বাবুল করিম (বাবলু)জানান, করোনা পরিস্থিতির কারণে গেল বছরের থেকে এবছর ক্রয় বিক্রয় কিছুটা কম। আমরা চেষ্টা করছি হাটে শতভাগ স্বাস্থ্য বিধি বজায় রাখতে।

মনিরামপুর পশু হাসপাতালের কর্মকর্তা ডাঃ আবুজার সিদ্দিকি জানান, করোনা পরিস্তিতিতে পর্যাপ্ত নিয়ম- শৃঙ্খলা মানার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।মনিরামপুর পশুহাটে গরু,ছাগল অসুস্থ হলে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দেয়ার জন্য ব্যবস্থা নিয়েছি। একই সাথে স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য সকলকে সতর্ক করা হচ্ছে। খামারীদের স্বার্থ রক্ষার সর্বোচ্চ চেষ্টা করার কথা জানান তিনি।

সংবাদটি সেয়ার করে পাশে থাকুন

একই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved  2024
Design by JIT SOLUTION